Atheist Chapter
যাহা হুবাল তাহাই আবাল

যাহা হুবাল তাহাই আবাল

লিখেছেন শহীদুজ্জামান সরকার
আল্লার রহমত ছাড়া কারো ঈমানদার হওয়ার ক্ষমতা নেই – সে মুহাম্মদ হোক অথবা আবু জাহেল অথবা মুরগিব। কুরানে অসংখ্য আয়াত আছে যেগুলোতে আল্লা নিজেই বলেছে, “আমার রহমত ছাড়া কারো আমার ঈমানদার হওয়া সম্ভব নয়।” সুরা ফাতেহার এই আয়াতটা দেখলেই বুঝতে অনেক সুবিধা হবে:

সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাজিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। (সুরা ফাতিহা, আয়াত ৭)

কুরানের এই সামান্য আয়াতটা বিশ্লেষণ করলে অনেক কিছুই আমরা বুঝতে পারবো। এই যেমন মুসলিমদের দাবি – কুরান লেখক হুবাল তথা আল্লাহ। আরবের আগের ঈশ্বরের নাম হুবাল ছিল। আরববাসীরা হুবালে বিশ্বাসী ছিল। মুহাম্মদ যে-ধর্ম প্রবর্তন করে, সেই ধর্মের ঈশ্বরও হুবাল, কিন্তু নাম বদল হয়ে আল্লা হয়ে গেছে। তবে যাহাই হুবাল, তাহাই আল্লা।
এই আয়াতে আল্লা কাকে কী বলতেছে? নাকি আয়াত পাঠকারী আল্লাকে বলতেছে, আমাদের উপর রহমত দান করো?

আসল সত্য – মুহাম্মদ নিজেই এই কুরানের রচয়িতা, নিজে নিজেই কাল্লনিক হুবালের কাছে নিজে রহমত চাচ্ছে, যে-হুবালের কোনো অস্তিত্বই নেই কোনো।
আবার কুরানের কোনো কোনো পড়লে মনে হয়, আল্লা নিজেই কিছু সরাসরি কিছু বলতেছে। এই যেমন:

আমি মুসাকে কিতাব দিয়েছি এবং সেটিকে বনী ইসরাঈলের জন্য হেদায়েতে পরিণত করেছি যে, তোমরা আমাকে ছাড়া কাউকে কার্যনির্বাহী স্থির করবে না। (সুরা বনী-ইসরাঈল, আয়াত ২)

তবে এই আয়াতটাতে এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, কুরান-লেখক মুহাম্মদ মাঝে মাঝে নিজেকেই হুবাল দেবতা ভাবতে শুরু করে কখনো কখনো। আমরা আরও জানি যে, মুহাম্মদ কোনো লেখাপড়া জানতো না, কিন্তু সে কীভাবে এই কুরান লিখতে পারলো? এই কাজটাও খুব সহজ একটা বিষয়।
মানুষ যখন বিপদে পড়ে, সেই সময় কিছু মানুষ তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসে কেউ আসে কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে। কেউ বা মানবিক কারণে। কিন্তু মুহাম্মদ এগিয়ে গিয়েছিল কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে। সে লোকদের বিপদ থেকে উদ্ধার করতে লাগলো। সেই লোকগুলো মুহাম্মদকে নবী মেনে নিল এবং পথ প্রদর্শক মনে করলো।
লিখতে-পড়তে জানা কিছু যুবকও যোগ দেয় তার সাথে। এই যুবকরাই মূলত মুহাম্মদের মুখের কথাকেই লিপিবন্ধ করতো মূলত খেজুর গাছের পাতায়। লেখার জন্য তারা বেছে নিতো ছোট গাছগুলোকেই, যে-গাছগুলোর পাতা নিচ থেকেই ছোঁয়া যায়।
তবে একটা মজার বিষয় হলো, এই গাছগুলোর পাতা বিভিন্ন পশু খেয়ে শেষ করে দিত। এভাবে অনেক আয়াত হারিয়ে যায়। আর পাখিরা এই আয়াতগুলোতে বিষ্ঠা ত্যাগ করতো। আর এই কারণেই কবুতর এবং অন্যান্য পাখি কুরানে বিষ্ঠা ত্যাগ করলে কুরানের পবিত্রতা নষ্ট হয় না।
কী হাস্যকর, তাই না? এরকম একটি গ্রন্থ নাকি মানবজাতির সকল সমস্যার সমাধান!

আরিফুর রহমান

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.

Most popular