সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক দিয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মুসলমানদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল বলেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কোনো অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা নিয়ে এদেশ স্বাধীন হয়নি।
উপরের কথাগুল আওয়ামী ওলামা লীগ এর
আহ কপাল! ধর্ম মানুষকে শেষ করে দেয়। শেষ করে দেয় বিবেক। শেষ করে দেয় বুদ্ধি। মরে যায় চিন্তা শক্তি, নিভে যায় জ্ঞানের আলো। যেখানে জ্ঞান নেই সেখানে বিধাতাও নেই।
খুব ভয় লাগে কোনদিন বাংলাদেশ এ পুজা, বড়দিন, ইস্টার সানডে বাতিল হয়ে যাবে। বানিয়া চরের গির্জায়, গির্জা চলাকালীন সময় বোমা মেরে দিলো, কত মানুষই না মরলো। বোমা মেরে অমুসলিমদের উপাসনালয় উড়াইতে পারবেন। আরাধনা বন্ধ করতে পারবেন। কিন্তু মনের উপাসনালয় ভাঙবেন ক্যামনে? সেখানে তো সৃষ্টি কর্তার বাস। ওইখানে বোমা ফালাইয়া দেখান দেখি। কত জোর আপনাদের একটু দেখি।
বাংলাদেশে অমুসলিম মানুষগুলকে মুসলিম সমাজ মানুষ বলে গণ্য করে বলে মনে হয় না । পার্থক্য টা কোথায় জানেন? হাতে শাঁখা কপালে লাল রঙের দাগ আর সিঁথির মাঝ বরাবর সিঁদুর আর গলায় তুলসির মালা কপালে চন্দনের তিলক। আর কোন পার্থক্য নাই। আপনার আর আমার মতো ২ চোখ হাত পা কান আর একটাই মুখ। নারী পুরুষ যেরকম ঠিক সেরকম এ ওরা। বিশ্বাস করেন আর একটুও পার্থক্য নাই।
আপনারা যখন ঘটা করে চিৎকার করে বলেন, ধর্ম যার যার দেশ সবার। এই কথা শুনলে খুব হাসি পায়! শুনতে অনেকটা এরকম লাগে, বিয়ে যার যার কিন্তু বউ সবার, লোল।
যদি কোন মতে জানা যায় বাংলাদেশের কোন জায়গায় অমুসলিম দ্বারা কোন মুসলমান ব্যাক্তি আহত হয়েছেন, সাথে সাথে দা, কুরাল, চাপাতি, বটি বা ছুরি নিয়ে জবাই করতে বের হয়ে যান। সাথে মালাউন মালাউন বলে চিৎকার করে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তোলেন। কোপ মারার পর বা ইচ্ছা মতো পিটানোর পর জানতে পারলেন যে সে শুধু একটা দাবড়ানি দিয়েছিল। বা আস্তে করে একটা ধাক্কা দিয়েছিল। অথবা আপনি তাকে আঘাত করেছেন সে শুধু নিজেকে বাঁচাতে পাল্টা জবাব দিয়েছে বা আপনাকে আঘাত করেছে।
কিন্তু যখন আপনারা সংখ্যা লঘূদের মারেন তখন কি হয়? আশে পাশের জনগন মুখে কুলুপ আঁটেন। বলতে পারেন আপনারা এত ভণ্ড ক্যান? তখন প্রতিবাদ করতে করতে মুখে ফেনা ওঠে না ক্যান? কারন এরা মালাউন এর জাত। এদেরকে মারলে সোয়াব হয়। প্রত্যেকটা মুসলমান মানুষ চোখেআঙ্গুল দিয়ে দেখাই দেয় যে এই তোদের সংখ্যালঘু তোদের আবার কিসের অধিকার? তোর দেশ ভক্তির মায়রেবাপ। ভণ্ড আর বিশ্বাস ঘাতক তোরা। চোখ উল্টে পিঠ পিছনে ছুরি খোপতে তোরা ওস্তাদ।
এত হিন্দু, খ্রিষ্টান, বোদ্ধ, উপজাতি মানুষ মরে কিচ্ছু আসে যায় না। একটা আঁটিও ছেড় না কেউ। আর তোমাদের ইসলামের কেউ মরলে তাণ্ডব নাচন শুরু হয় তোমাদের? যতসব খবিশ শয়তান দের দল। বানোয়াট ধর্ম বেচা নরাধম শকুন এর জাত। টুপি ওয়ালা আর পায়জামা বলটানো এদের কে দেখলে এখন গা ঘিন ঘিন করে। হ্যাঁ ঘৃণা, ঘৃণাই হয়। যারা মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না ওদেরকেও মানুষ বলে মনে করি না।
বলতে বাধ্য হচ্ছি, বাংলাদেশে মুসলিম ধর্মের মানুষদেরই শুধু ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগে। আর অন্যান্য ধর্মের মানুষদের আসলে অনুভুতিই নাই। এই মৌলবাদী মূর্খতা যতদিন থাকবে , জ্ঞান এর মুক্তি নাই। মনের ভিতর ভয় নিয়া কি স্রষ্টার আরাধনা হয়? ভয় দেখিয়ে কি ধর্মের প্রতিষ্ঠা হয়? হয় না। একদিন মুখ থুবড়ে এমন ভাবে পড়বেন যে অস্তিত্বই থাকবে না। সৃষ্টিকর্তা নিজেই বিচার করবেন। কারন মানুষ যা বোনে, তাই সে কাটে। যা অন্যায় করিবেন তাহার শাস্তি এই দুনিয়াতেই পাইবেন। কারন এই দুনিয়াই স্বর্গ আর এই দুনিয়াই নরক। সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম, যেদিন সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতে আপনাদের বিচার করিবেন।