সুযোগ সন্ধানী আল্লামা, আলেম, মুফতি আর হুজুরদের সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ জায়গা হল মাদ্রাসা যেখানে তারা ইচ্ছে মতো, বেছে বেছে, যাকে খুশি তাকেই যতবার ইচ্ছে ততবার ধরে শিশু থেকে শুরু করে ছেলে মেয়েদের ধর্ষণ করতে পারে।
আমার প্রশ্ন হল, জেনে শুনে পরিবারের পিতা মাতা কেন তাদের সন্তানদের মাদ্রাসাতে পরানোর জন্য অতি উৎসাহী হয়ে থাকেন? তাহলে কি ওই পরিবারের পিতা মাতার কাছে সন্তানের সুরক্ষা থেকে ধর্ম শিক্ষা বড়?
সন্তান ধর্ষণ হচ্ছে হউক তাদের কোন মাথা ব্যাথা নাই কিন্তু ইসলামে/কোরআনে হাফেজ হউয়া চাই, এই কি তাদের চিন্তা?
উল্লেখ্য, আমি এখানে ধর্মশিক্ষা গ্রহনের একটা মাধ্যম আর ওই মাধ্যম দ্বারা সম্ভাব্য সর্বনাশের কথাই জানতে চেয়েছি।
আজকাল ধর্ষকরা তাদের সুবিধা মতই জায়গা বেছে নিয়ে এই বর্বরতাকে বাড়িয়ে তুলছে। সুবিধা মতো যেখানে সেখানেই আজকাল ধর্ষণ হচ্ছে। কেউ না কেউ করছেই। আমি এই ধর্ষণ নিয়ে ধর্ম শিক্ষার এক মাধ্যম উপর পরিবারের সতর্কতার কথা জানতে চাইছি বা তারা আদৌ কি চিন্তা করেন ওটাই জানতে চেয়েছি।
রেফারেন্স সহ দিলাম, দয়া করে পর পর তারিখ গুলো দেখবেন।
জনকণ্ঠ ২৬ মে ’১৬ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মসজিদের মুয়াজ্জিন জহিরুল ইসলাম স্বীকার করেছেন ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েই শিশু সুমাইয়া আক্তারকে (৮) হত্যা করেছেন।শিশুটি বেশি ছোট তাই ধর্ষণ করতে না পেরে রাগে হত্যা করেছি।
দৈনিক ইত্তেফাক ১৬ মার্চ ’১৬ মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকার পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা হেফাজতি ইসলামের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাও. মুফতি মতিউর রহমান (৫০)
দৈনিক যুগান্তর ২৮ মে ’১৬ সিলেটে নগরীতে প্রাইভেট পড়তে যাওয়া সাত বছরের দুই শিশুকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে তাওহিদুল ইসলাম মনির (২৮) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক।
বি ডি নিউজ ২৪ ২৬ মে ’১৬ বগুড়া ধুনটে উপজেলার জোড়খালি হাফিজিয়া নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল আজিজ (২৫) সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করে।
জুন ০৬, ২০১৬ প্রথম আলো, ওরা আপন দুই ভাই। একজনের বয়স নয় বছর। আরেকজনের দশ। রাজধানীর একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। মাদ্রাসাতেই থাকে। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে শিশু দুটি আজ সোমবার আদালতে আসে। তারা বলেছে, তাদের সঙ্গে ‘খারাপ কাজ’ করেছেন মাদ্রাসার এক শিক্ষক (২২ বছর)
খেয়াল করে দেখেন তারিখ গুলো। এইগুলো অবশ্যই ভাবার বিষয়। ধর্ম শিক্ষাকেন্দ্র যখন হয়ে ওঠে ধর্ষণের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা!