আজ কেন মুসলিম রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে খেদানো হচ্ছে তা একটু চিন্তার গভীরে গেলে বোঝা যায়। সমস্যা হল মুসলমানরা যেদেশের যে অঞ্চলে একটু সংখ্যাগরিষ্ট হয়ে উঠে, অমনি অঞ্চলটা তাদের আল্লার দেশ ভাবে। এবং সেখানে আল্লার শাসন কায়েম করার জন্য উঠে পড়ে লাগবে। এমন কি সেই অঞ্চলটার স্বাধীনতা পর্যন্ত চেয়ে বসে! আজ মিসর, ইরাণ, তুরষ্ক, পাকিস্তান, বাংলাদেশ যে বেশ মুসলমানদের দেশ হিসেবে গর্ভ করে বলা হচ্ছে, এগুলি কি মুসলমানদের আদি নিবাস ছিল? এই উপমহাদেশে মুসলমান এসেছে এই তো সেদিন। বর্বর আরবীয়রা (ইসলামিস্টরা) ৮০০-১০০০ বছর আগে আগ্রাসন চালানোর পর। মুসলমান ও ইসলামের জম্মই হয়েছে সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল, আলেকজান্ডারের ৭০০-৮০০ বছর পর। সক্রেটিসরা জম্মে ছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ বছরও আগে। আর ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মুহম্মদ জম্মাই এই তো সেদিন, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে। মিসরের সভ্যতা ছিল একের পর এক রাজা ফেরাউনদের ঘিরে। সেখানে আগে মুসলমান নামক কোনো অস্তিত্ব ছিলনা। আগে মিসরের রাজা মারা গেলে তার ধন সম্পত্তি সহ সমাদি দেয়া হতো। তার উপর পিরামিড গড়ে তোলা হতো। আর মুসলমানরা ১০০০ বছর আগেও সেখানে পিরামিড ভেঙ্গে লুটপাট চালিয়েছিল। তুরস্ক, ইরাক, সিরিয়া, ছিল আদি খ্রিস্টানদের বসবাস। এখন সেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ।
আজ ভারতের কাশ্মীরে হিন্দু পন্ডিতরা মুসলমানদের মার খেয়ে বিপর্যস্ত। তারা পালিয়ে এসেছে দিল্লীতে। সরকার তাদের পুনর্বাসন করার কথা ভাবছে। পশ্চিমবঙ্গেও একই অবস্থা। সংখ্যালঘু মুসলমানদের হাতে সংখ্যাগরিষ্ট হিন্দুরা মার খাচ্ছে। এজন্য কি ভারত সরকার মায়ানমারের নীতি অনুসরণ করেছে? কাশ্মীর থেকে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুসলিম খেদানোর নীতি অনুসরণ করেছে? না করেনি। ভারতের মৌদি সরকার আজো সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে। তবে আজ যে রোহিঙ্গা রা মায়ানমারে অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে এর জন্য দায়ী গোটা বিশ্বের মুসলিম সমাজ। কারন মায়ানমার সরকার জেনে গেছে যে এদের লায় দিতে নেই, প্রশ্রয় দিতে নেই। এদের প্রশ্রয় দিলে একদিন রোহিঙ্গা মুসলমানরা মায়ানমারের গোটা রাখাইন রাজ্যটাই স্বাধীনতা চেয়ে বসবে। মায়ানমারের রাষ্ট্রনীতি বোধহয় মুসলমানদের ইতিহাস ভালো করেই জানে। কিভাবে আরবীয় মুসলমানরা ৮ম-৯ম শতকে এসে এই ভারতবর্ষে জুড়ে বসেছিল। শুধু তাই নয়, মুসলমানরা এই উপমহাদেশে (ভারতবর্ষে) হাজার বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নামক দুটো রাষ্ট্রও হাতিয়ে নিয়েছে! এখন কাশ্মীর আর পশ্চিমবঙ্গও নিজেদের করে নেয়ার জন্য ইসলামি প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। মায়ানমারের রাষ্ট্রনীতি মুসলমানদের ঐতিহাসিক সহিংসতার আশংকা থেকে যদি মুসলমান খেদানো নীতি অবলম্বন করে, তাহলে কি মায়ানমানের রাষ্ট্রনীতিকে খুব বেশি দোষ দেয়া যায়? এই জন্যই বোধহয় তারা মুসলমান রোহিঙ্গাদের মাইরের উপর রাখছে।
আমার এক বন্ধু সব সময় বলে কাশ্মীরে যদি মুসলমানদের উপর মানবাধিকার লঙ্গন করে তাহলে ভারত সরকারের কে কি…. ছিঁড়বে। ভারত একমাত্র গনতন্ত্রকে সমুন্ন রাখার জন্য তারা এই কাজ করেনা। ভারতের কাশ্মীর নিয়ন্ত্রন রেখা (line of control, সংক্ষেপে loc) ঠিক রাখতে গিয়ে ভারত সরকারের বছরে যে কোটি কোটি বাৎসরিক টাকা গুনতে হয়, যে সামরিক ব্যয় হয়, তা দিয়ে দুটো কাশ্মীর উন্নত রাজ্যে পরিনত করা সম্ভব। সেই টাকা দিয়ে কাশ্মীরে শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা দেয়া খুব সম্ভব। কিন্তু পাকিস্তান তা কখনো হতে দেয়না। পাকিস্তান কাশ্মীরের মুসলমান জনগনকে অস্ত্র দিয়ে হোক, ধর্মান্ধতার উস্কানি দিয়ে হোক, জঙ্গিবাদের চেতনা পাচার করে হোক, ইসলাম দিয়ে হোক মুসলমানদের বিগড়ে রেখেছে। মুসলমানদের মধ্যে স্বাধীনতার বীজ ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখন যদি ভারত কাশ্মীরকে স্বাধীনতা দেয়, তাহলে এটা ভারত রাষ্ট্রের জন্য ইমেজ ক্ষুন্নের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এই স্বাধীনতা দিলে এরপর মুসলমানরা পশ্চিমবঙ্গএর ও স্বাধীনতা চেয়ে বসবে।
মায়ানমার যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের দেশত্যাগে বাধ্য করছে, তা এমনি এমনি নয়। আশংকা থেকে। মুসলমানরা এতো গুনধর জাতি যে, তারা যেদেশে আশ্রয় পায় সেদেশটার জাতীয়তা আর সার্বভোমৌত্বকে ইসলামের প্রচার ও প্রসার চালিয়ে গোটা দেশটাকে ইসলামিক মোড়কে মুড়ে ফেলতে চায়। সেই দেশটার গঠনতন্ত্রকে পর্যন্ত ধ্বংস করতে চায়! এরপর সেখানে আল্লা ও ইসলামের রাষ্ট্র কায়েম করার আন্দোলন চালায়। তো সেখানে মাত্র পৃথিবীর প্রথম রাষ্ট্র মায়ানমার মুসলমানদের উপর বিরক্ত হয়েছে। মায়ানমারের মতো একবার যদি আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, নরওয়ে, জার্মানী, ভারত… যদি বিরক্ত হয়, এবং মুসলমানদের প্রতি দমন-নিপীড়ন নীতি অনুসরণ করে তাহলে একটু ভাবুন তো বিশ্ব মুসলিমদের অবস্থা কি হবে? মুসলমানরা কতোটা হেনস্তা হয়ে নিগৃহীত হবে?
দিন দিন মানুষ উন্নত চেতনার দিকে আগায়, আধুনিক সভ্যতার দিকে আগায়। অন্ধকার ভেদ করে আলোর দিকে আগায়। জাতিভেদ, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা ও পাশবিকতাকে পশ্চাদে ফেলে সুস্থ চিন্তার মানুষগুলো মনুষ্যত্বের দিকে আগায়। আর পৃথিবীর ৭০০ কোটির ১৬৭ কোটির অধিকাংশ মুসলমানরা আগায় কট্টর সহিংস নীতি বর্বর ইসলামের পথ ধরে। ঠিক যেন উল্টো দিকে ১৪০০ বছরের পুরোনো পেছনের গুহার দিকে। অমুসলিমদের হত্যা করেই হোক, নারীদের সাথে ব্যাভিচার করেই হোক, ধর্ষন করেই হোক, লুটপাট করেই হোক, মুসলমানদের সদা ইসলামিয় বর্বর ও সহিংস নীতিতে নিমগ্ন থাকা চায়! প্রতিনিয়ত অমুসলিমদের ঘর-বাড়ি লুট না করলে, তাদের বাড়ি-ঘর না জ্বালালে মুসলমানরা যেন স্বস্তিবোধ করেন না! এই যেন তাদের ধর্মীয় জিহাদীয় অভ্যাসটা রপ্ত থাকা চায়ই চায়। আর তাদের ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠার নমুনা হল অমুসলিমদের ঘরবাড়িতে প্রথমে হামলা তারপর লুটপাট, তারপর অমুসলিম মেয়দের ধর্ষণ! ২০০১ সালের সংখ্যালঘু বালিকা পুর্ণিমা রানী গনধর্ষণে শিকার হওয়া আর্ত চিৎকার আজো শুনি, “-আমাকে তোমরা ছাইড়া দাও, আমি আর এ থাকুম না!”
পৃথিবীর মানব সভ্যতা আজ ইসলামিস্ট মুসলমান দ্বারা আক্রান্ত। প্রতিদিন পৃথিবীর কোনো না কোনো দেশের শহরের রাস্তা-ঘাট মুসলমানদের ভয়ংকর স্লোগান (আল্লাহু আকবর) দ্বারা রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। এর কারণ কি? এর কারণ ইসলাম ধর্ম এসব মুসলমানদের অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অনুপ্রানিত করে। এবং পৃথিবীতে যতক্ষন না আল্লার শাসন প্রতিষ্টা হচ্ছে ততক্ষন মুসলমানরা আল্লার পথে যুদ্ধ করে যাবে আমৃত্যু অব্দি। ২০০৮ এ মুম্বাই হামলা করে যে পাকিস্তানী ১০ জঙ্গি আমির কাসাবরা, তারা মুলত ইসলামের পথকে অনুসরণ করেই এই হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানি ১০ জঙ্গি কাসাবরা মুম্বাইয়ের লিওপল ক্যাফে, তাজ হোটেল, নরিমন হাউজ, ছত্রপতি শিবাজী রেল স্টেশনে যেভাবে এলো পাথারি গুলি চালিয়ে ১৬৬ জন নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে নিহত ও ৩৩৮ জনকে গুরুতর আহত করেছে, তার জন্য কাসাবরা বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত ছিলেন না। একেক জন্যকে হত্যা করার জন্য তাদের চোখে মুখে ছিল এক অনাবিল আনন্দ। আর ছিল জান্নাতের সান্নিধ্য পাবার অফুরন্ত লোভ। কাসাবদের মৃত্যুর জন্য কোনো ভয় ছিলনা। কাসাবরা জানে তারা যদি জিতে যায় তাহলে গাজী, আর মরে গেলে শহীদ। শহীদ মানে বুঝেন তো? সোজা জান্নাত চলে যাবে তারা! আর জান্নাতে তারা একেকজন ৭২ টি হুরের সাথে যৌনময় জীবন কাটাবে। সেখানে শরাব ও দুধের বহমান নদী থাকবে। হুরগুলো হবে চিকনা কোমর, সুঢোল নিতম্ব ও উন্নত বক্ষের অধিকারী অসাধারন সুন্দরী। তারা সবসময় নগ্ন হয়ে মুমিনদের চারদিক ঘিরে রাখবে।
যে ছয়জন তরুন জঙ্গি গুলসান হামলা করেছে, তারাও মুম্বাই হামলার জঙ্গি কাসাবদের বয়সি। তারাও ইসলামের সহি নিয়ম মেনেই বিদেশী নাগরিকদের হত্যা করেছে। কারণ বিদেশী অমুসলিম নাগরিকরা নির্বাসদের দৃষ্টিতে ছিল কাফের। বর্তমান পৃথিবীতে এমন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নেই, যেখানে মুসলমানদের নাম নেই। টুইন টাওয়ার হামলা, প্যারিস হামলা, কেনিয়ায় হামলা, বেলজিয়ামে হামলা, ভারতে হামলা, তুরস্কে হামলা, বাংলাদেশে ব্লগার হত্যা, আফগানিস্তানে হামলা, ইরাক সিরিয়ায় হামলা। এর প্রতিটি হামলায় নাম জড়িয়ে আছে মুসলমানের। প্রতিটি হামলার আগে স্লোগান থাকে “আল্লাহু আকবর!” কই পৃথিবীতে গডহু আকবর, ভগবানহু আকবর, ঈশ্বরহু আকবর বলে বলে তো কোনো হামলা হয় না। শুধু কেন আমরা ইসলামিস্ট সন্ত্রাসীর মুখে আল্লাহু আকবার ধব্বনি শোনার পর রক্তাক্ত মানুষের লাশ দেখি? বিদগ্ধ নগরী দেখি? এর কারণ একটাই ইসলাম মুসলমানদের সুস্থ ও সভ্যভাবে চলার কোনো পথই খোলা রাখেনি। একজন মুসলসমানকে মুসলমান থাকতে হলে হয় তাকে জিহাদ করে মারতে হবে, নয় মরতে হবে! জিহাদ অতি উত্তম আল্লাহ তা বলেছেন। আর জিহাদ করা প্রতিটি মুমিন মুসলমানের জন্য কর্তব্য। এই যদি হয় ইসলামের তরে, আল্লাহর তরে, মুসলমানদের আমৃত্যু জিহাদ করা, তাহলে তো দিন দিন পৃথিবীর মানব সভ্যতা হুমকির মুখে পড়বে। পড়বে কি, অলরেডি পড়ে গেছে। এই বিগত কয়েক বছরে মুসলমানরা তো পৃথিবীর দেশে দেশে বোমা হামলা করে আল্লাহ ও ইসলামের যথার্থ ঈমান রক্ষা করেছেন!
–আমি নাস্তিক মানুষ। আমি চাই না কোনো মানুষই তার দেশ জম্মভুমি থেকে বিতাড়িত হোক। এটা অন্যায়, ঘোরতোর অন্যায়। নিজের বেড়ে উঠা ভুমি ত্যাগ করে চলে যাওয়া যে কতো কষ্টের, কতো বেদনার, তা বুঝবে একজন দাউদ হায়দার, একজন তসলিমা নাসরিন, একজন আসিফ মহিউদ্দিন, একজন দাঁড়িপাল্লা, একজন সন্ন্যাসী রতন, একজন ইতু ইত্তিলা, একজন লুক্স, একজন অনন্য আজাদ, একজন শাহ আলম শান্তি দা। ঠিক একি ভাবে মায়ানমারের রোহিঙ্গারা না জানি কতো কষ্ট নিয়ে নিজ দেশ মায়ানমার ত্যাগ করছে। ঠিক একি ভাবে না জানি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা কতো বেদনা নিয়ে দেশ ত্যাগ করছেন। আমিও সাময়িক ভাবে এদেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম।
আমি জানি একটা আলাদা দেশ, আলাদা সংস্কৃতির প্রতিকুলে থাকা কতোটা কষ্টকর। আমি মনে করি মুসলমানদের ধর্ম ইসলামটা অন্তত তাদের ব্যক্তির অন্তরে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। তা যেন সামাজিক সীমানা ডিঙিয়ে রাষ্ট্রের উপর খবরদারি করতে না পারে। ইসলাম ধর্ম যেসব রাষ্ট্রের উপর খবরদারি চালাচ্ছে, সেই রাষ্ট্রের গনতান্ত্রিক নীতি গোল্লায় গিয়েছে বলা যায়। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরান, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইরাক, তিউনেশিয়া, তুরস্ক, এসব দেশে গনতন্ত্র আছে? অমুসলিমদের নুন্যতম স্বাধীনতা আছে? এই দেশগুলো ইসলাম করে করে ধবংসের শেষ প্রান্তে গিয়ে ঠেকেছে। এখানে একসময় মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে কামড়া-কামড়ি করে মরবে। তার আগে মুসলমানরা অমুসলিম দেশগুলো থেকে ভালো ভাবেই নিগৃহীত হবে। এর জন্য একমাত্র মুসলমানিত্ব ও ইসলামের ধর্মেই নীতিই দায়ী। মুসলমানরা যতদিন ইসলাম-অন্ধতা কেটে উঠতে না পারবে, মধ্য যুগীয় মুহম্মদবাদকে পশ্চাদে ফেলতে না পারবে, ততদিন মুসলমানদের প্রতি পৃথিবীর সমস্ত অমুসলিমরা ঘৃণার পরিধিটা বাড়াতে থাকবে। একসময় মুসলমানদের একঘরে করে দেবার প্রস্তুতি চলবে। এক সময় অন্য ধর্মীর মানুষ আল্লাহ, ইসলাম ও নবীর নাম বর্বরতার সমার্থক শব্দ হিসেবে ভাববে। এটা আগামীর মুসলমান প্রজম্মদের জন্য কোনো ভালো বার্তা নয়। ইসলাম যেখানে মানব সভ্যতাকে বার বার রক্তাক্ত করে চলেছে, সেখানে ইসলাম নিষিদ্ধের দাবী উঠা কোনো অমুলক নয়। কারণ ইসলামি মতবাদ পুরো মানব সভ্যতার জন্য হুমকি! একই সাথে লজ্জাও!