Atheist Chapter
নারীদের প্রতি মোহাম্মদের এত মোহ কেন ছিলো?

নারীদের প্রতি মোহাম্মদের এত মোহ কেন ছিলো?

ইসলামী তথাকথিত নবী মোহাম্মদের বিয়ে জীবনের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই অল্প বয়ষ্কা নারীদের প্রতি তার এক ধরনের ভয়াবহ মোহ ছিলো। কেন এই মোহ, কিসের জন্য এই মোহ এগুলো ব্যখ্যা কিংবা বিশ্লেষন করতে হলে আমার মনে হয় আমাদের তার মনস্তাত্বিক ভাবনার প্যাটার্নের দিকে অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে।

আসুন মোহাম্মদের বিয়ের বিস্তারিত একটু জেনে নেই প্রথমেই-  জানিয়ে রাখছি নীচের  এই তথ্যগুলোর  নেয়া হয়েছে বিষ্ময় নামক ওয়েবসাইটের একটি লেখা থেকে। লেখার লিংকঃ www.bissoy.com/40744/। তবে আমি মূল লেখা থেকে শুধু তথ্যগুলো নিয়ে নিজের মত অনুলিখন করেছি।

মোহাম্মদের প্রথম বউ হযরত খাদীজাতুল কুবরা বিনতে খুওয়াইলিদ : বিবাহকালে মোহাম্মদের বয়স ছিলো ২৫, তাঁর বয়স ৪০, মোহাম্মদের এর সাথে দাম্পত্যকাল- প্রায় ২৫ বছর।

মোহাম্মদের দ্বিতীয় বউ  সওদা বিনতে যাম‘আহ কে বিয়ে করবার সময় মোহাম্মদের বয়স ছিলো ৫০ এবং তার স্ত্রীর বয়সও ছিলো ৫০। তারা সংসার করেন ১৪ বছর।

মোহাম্মদের তিন নাম্বার বউ আয়েশা বিনতে আবুবকর। এই সময়ে মোহাম্মদের বয়স ছিলো ৫৪ আর আয়েশার বয়স ছিলো মাত্র ৯। দাম্পত্যকাল-৯ বছর।

মোহাম্মদের ৪ নাম্বার বউ হাফছাহ বিনতে ওমর। হাফসা কে বিয়ে করবার সময় মোহাম্মদের বয়স ছিলো ৫৫। আর হাফসার ২২। এদের দাম্পত্য জীবন ছিলো ৮ বছর।

মোহাম্মদের ৫ নাম্বার স্ত্রী  যয়নব বিনতে খুযায়মা। এই সময়ে মোহাম্মদের বয়স ছিলো ৫৫ আর বউয়ের বয়স ৩০। দাম্পত্যকাল- ৩ মাস।

মোহাম্মদের ৬ নাম্বার স্ত্রী উম্মে সালামাহ। বিয়ের সময় মোহাম্মদের বয়স ছিলো ৫৬। স্ত্রীর বয়স ছিলো ২৬। দাম্পত্যকাল- ৭ বছর।

মোহাম্মদের ৭ নাম্বার বউ ছিলো যয়নব বিনতে জাহশ। বিয়ের সময় মোহাম্মদের বয়স ছিলো ৫৭ আর মেয়ের বয়স ছিলো  ৩৬। দাম্পত্যকাল- ৬ বছর।

মোহাম্মদের ৮ নাম্বার বিবি ছিলো জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারেছ। বিয়ের সময় মোহাম্মদের বয়স ছিলো ৫৭ আর মেয়ের বয়স ছিলো ২০। দাম্পত্যকাল- ৬ বছর।

মোহাম্মদের ৯ নাম্বার বউ ছিলো উম্মে হাবীবাহ রামলাহ বিনতে আবু সুফিয়ান। এই মেয়েকে বিয়ের সময় মহাম্মদ নামে লুইচ্চাটার বয়স ছিলো ৫৮। মেয়ের বয়স ছিলো ৩৬।  এদের দাম্পত্যকাল- ৬ বছর।

মোহাম্মদের ১০ নাম্বার বউ ছিলো ছাফিয়া বিনতে হুয়াই বিন আখত্বাব এই সময় মোহাম্মদের বয়স ছিলো ৫৯; মেয়ের বয়স ছিলো ১৭; দাম্পত্যকাল- পৌনে চার বছর।

মোহাম্মদের ১১ নাম্বার বউ ছিলো মায়মূনা বিনতুল হারেছ। এই সময় দি গ্রেট লুইচ্চা মোহাম্মদের বয়স ছিলো ৫৯ এবং স্ত্রীর বয়স ছিলো ৩৬। এদের দাম্পত্যকাল- সোয়া তিন বছর।

কিলাব ও কিন্দাহ গোত্রের আরও দু’জন মহিলা মোহাম্মদের স্ত্রী ছিলেন বলে কেউ কেউ বলেছেন। যদিও এই ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।

আবার এই ছাড়াও লম্পট মোহাম্মদের আরো দুইজন দাসী ছিলো যাদের সাথে মোহাম্মদ সেক্স করত। এদের দুই জনের নাম যথাক্রমে এক- মারিয়া ক্বিবতিয়া এবং দুই- রায়হানা বিনতে যায়েদ। এই দুইজনকে যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে মোহাম্মদ তার গুন্ডা সাহাবীদের নিয়ে ধরে এনে নিয়মিত বাসায় রেখে ধর্ষন করত।
এই ছাড়াও মোহাম্মদের বাণী লেখক  আবু ওবায়দাহ আরও দু’জনের কথা বলেছেন। যাদের একজন কোন এক যুদ্ধের বন্দিনী। অন্যজন যয়নব বিনতে জাহশ।
মানে দাঁড়ালো মোহাম্মদ এই লেখা অনুযায়ী-ই দেখা যাচ্ছে প্রায় ১৭ জন নারীর সাথে বিয়ে করেছে কিংবা কারো সাথে বিয়ে না করেই যৌনতায় লিপ্ত হয়েছে।
এই লেখা পড়বার পরেও আপনাদের যাদের মোহাম্মদের প্রতি ভালোবাসা উপচে পড়বে, তাদের হয় মাথার সমস্যা আছে, না হয় এরাও এই লম্পট ব্যাভিচারী মোহাম্মদের মত একটা ইতর ও সভ্য প্রাণী।
এই লেখার শুরুতেই আমি যা বলছিলাম যে মোহাম্মদ যে নারীতে আসক্ত ছিলো এবং বিয়ে করাটা ছিলো মোহাম্মদের অনেকতা পেশার মত। ৫৬, ৫৭, ৫৮,৫৯ সকল বস্যসে এই পার্ভার্ট লোকটি ক্রমাগত বিয়ে করে চলেছে। দেখা যাচ্ছে প্রতি বছরই এই লম্পট একটা একটা করে মেয়ে ধরে আনছে আর বিয়ে করে তার মনের যৌনন জ্বালা মেটাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ৫৯ বছর বয়সে কি মোহাম্মদ যৌবন জ্বালা মিটিয়েছে নাকি সে ছিলো আসলে একটা স্ট্রেইট পার্ভার্ট?
কেন বলছি এই কথা? লক্ষ্য করে দেখুন যে এই লোকটি ৫৪ বছর বয়সে আয়েশা নেমের এক ৯ বছরের শিশুকে বিয়ে করে এনেছে। যদিও বিয়ে করবার সময় আয়েশার বয়স ছিলো ৬ আর সংসার করতে এসেছিলো ৯ বছর বয়সে।
এত জঘন্য, এত নোংরা ও পংকিল একটি লোক যে ধর্মের লিডার ও ক্যাপ্টেন সেই ধর্মের বাকীদের কি অবস্থা তা খুব সহজেই অনুমেয়। ইসলাম যে আসলে একতা পার্ভার্ট, লুইচ্চা, বদমাশ ও সসভ্যের আরাধনার স্থান তা তাদের পালের গোদা মোহাম্মদকে দেখেই বুঝতে পারা যায়।
লাখ টাকার প্রশ্ন হচ্ছে, নারীদের প্রতি বুইড়া খাটাসগ মোহাম্মদের এত মোহ বা আসক্তি ছিলো কেন? আমি বলব মনের দিক থেকে মোহাম্মদ ছিলো একজন বিকৃত মনের অধিকারী ও পার্ভার্ট। নিজের যৌন আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করবার জন্য যুদ্ধ বাঁধিয়ে মেয়েদের তার গুন্দাদের দিয়ে ধরে এনে বিয়ে করত এবং ভোগ করে ৩ বছর, ৩ মাস, দুই বছর, এই ভাবে ছেড়ে দিত।
এমন একটি লোককে নিয়ে লিখলেও গা গুলিয়ে আসে।

ইয়াজ কাওসার

লেখালেখি করা আমার প্যশন। ভালো লাগে ধর্ম, আশে পাশের মানুষ, সমাজ, সংস্কৃতি, জীবন-যাপন ইত্যাদি নিয়ে লিখতে। বিশ্বাসের দিক থেকে নাস্তিক। সংক্ষেপে বলতে গেলে মানবতাবাদী হয়ে উঠাটাই আমার আদর্শ। আমার ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.

Most popular