Atheist Chapter

বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম তাহলে পাকিস্তান সফর করে না কেন?

অস্ট্রেলিয়া নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছিল। সেই অস্ট্রেলিয়াই লন্ডন হামলার পর বলছে তারা লন্ডনের পাশেই আছে। বাংলাদেশের সংসদ ভবনে এমপিরা আজকে অস্ট্রেলিয়ার মন্ডুপাত করেছে। প্রথম আলোর বরাতে জানলাম উৎপল শুভ্রের কাছে নাকি বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্তাও উম্মা প্রকাশ করেছেন। নিরাপত্তার অজুহাত নাকি কিছুই না আসল কারণ হচ্ছে তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ করে দিতে চায়…।

বাংলাদেশের কাছে বিনীত প্রশ্ন, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম তাহলে পাকিস্তান সফর করে না কেন? লন্ডনে হামলা হয়, প্যারিসে হামলা হয় পাকিস্তানেও হামলা হয়। প্যারিস হামলার পর ইউরো কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কোন ইউরোপীয়ান দেশই টুর্নামেন্ট বয়কট করেনি। ভারতে তাজ হোটেলে হামলার পরও কোন বিদেশী টিম ভারত সফর বয়কট করেনি। কেন?

এখানেই ফ্যাক্টটা রয়ে গেছে। বিশ্ব জুড়ে যে চোরাগুপ্তা হামলা চলছে, আত্মঘাতি হামলা চলছে তার সবটাই ঘটাচ্ছে মুসলমানরা ইসলাম ধর্মের আইডোলজি ব্যবহার করে। পশ্চিমে এই হামলাগুলো ঘটায় অভিবাসী মুসলিমরা। এক-দুই পার্সেন্ট এইসব অভিবাসীদের চালানো হামলাগুলো মোকাবেলা করে পশ্চিমাদের পুলিশ-গোয়েন্দারা। এই পুলিশ-গোয়েন্দারা কেউ মুসলমান নয়। মুসলিম দেশের পুলিশ, সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা বিভাগের সবাই মুসলমান হয়। এদের মধ্যে কতজন আইএস সমর্থক, শফী সমর্থক, চরমোনাই সমর্থক, লস্করে তৈয়াবা সমর্থক তার কোন গ্যারান্টি নেই। যে নিরাপত্তা দেয়াল মুসলিম দেশগুলো দিবে তার কোন একটা আলগা ইটই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফুটো করে রাখবে। এসব ননমুসলিমরা ভাল করেই জানে। ভদ্রতা করে শুধু খাড়াকে খোড়া বলে না। গোটা ‘ননইসলামী বিশ্ব’ জানে মুসলমানদের ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ তাদের ধর্মগুরুদের কাছ থেকে আসে। তুরস্ক যদি পশ্চিমাদের নিরাপত্তা দেবার আশ্বাস দেয় সেটা তুরস্কের মুসলমানদের নিয়েই গঠিত পুলিশ, সেনাবাহিনী দিবে। ভারতের মুম্বাইতে তাজ হোটেল হামলার সময় ইংলেন্ড ক্রিকেট দল সফর করছিল। ইংলেন্ড কিন্তু পুরো সিরিজ খেলেই বাড়ি ফিরেছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করে আক্রমন চালানো আর স্বয়ং নিরাপত্তাই আপনার দিকে হামলা চালাতে পারে- এ দুটো কি এক?

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরাট একটা অংশ তালেবান অনুসারী এটা এখন বিশ্ববাসী জানে। লন্ডনের পুলিশের একজন সদস্যকেও কি সন্দেহ করা যাবে যে মনে মনে হলেও আইএস অনুসারী হতে পারে? বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে, সেনাবাহিনীর মধ্যে কি পরিমাণ জিহাদী মনোভাবাপন্ন লোক আছে তার কোন পরিসংখ্যান আমাদের কাছে না থাকলেও আশংকা তো থেকেই যায়। এমনটা তো কোন অমুসলিম দেশে করা সম্ভব না। তাদের সেনাবাহিনী, পুলিশে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠদের প্রতিনিধিত্বই থাকবে। যে কারণে ভারতে প্রচুর টেরোরিস্ট এটার্কের ঘটনা ঘটলেও সেটা পাকিস্তানের নিরাপত্তাহীনতায় কাতারে পড়ে না। শ্রীলংকা ক্রিকেট টিমকে পাকিস্তানে ‘প্রেসিডেন্ট নিরাপত্তা’ দিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে তালেবানদের হামলার ঘটনায় পাকিস্তানেই কথা উঠেছিল পাকিস্তান নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে নিরাপত্তা ‘শিথিল’ ছিল…।

ফেইসবুকে অচেনা কোন মুসলিম নামের নিক হলে আমরা যেখানে বিনা বিচারে তাদের গ্রহণ করতে পারি না- সেখানে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের নিরাপত্তার আশ্বাস কি করে বিশ্বাস করবে?

সৈয়দ সানভী অনিক

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.

Most popular