আমি একটা জিনিস দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করেছি আমার এই ব্লগ এবং লেখালেখি জীবনে। সেটা হচ্ছ মুসলমানদের ভেতর জাতিগত ঘৃণা, বিদ্বেষ, হিংসার যে একটা কালো অধ্যায় তারা নিজেদের ভেতর অদম্যভাবে পুষে রাখে সেটা ভয়াবহ। কেন এই পুষে রাখা কিংফবা কেন এই হিংস্রতা এটার সলুক সন্ধান আমি আজও পাইনি। বলতে হয় এই পার্টিকুলার স্থানে আমি ব্যর্থ।
আমিত্ব, আমার ধর্মই সেরা, আমিই সেরা, আমার নবীই সেরা আর বাকিরা সব অপাংক্তেয় এই প্রত্যেকটি জিনিস আমি সকল মুসলমানদের ভেতর অদম্য ভাবে পরিশফুটিত হতে দেখি প্রতিনিয়ত। এটির জন্ম ঠিক কোন তাড়নায় কিংবা অনুভূতির ঠিক কোন গ্রন্থি থেকে, আমার জানা নেই। আমি কোনদিন এই ব্যাপারটি বুঝতে পারব, এই আশাও করিনা।
আমি লক্ষ্য করে দেখেছি একজন মুসলমান ছেলে কিংবা মেয়েকে তার বাসাতেই এই হিংস্রতার পাঠ শিশু বেলা থেকেই দেয়া হয়। অন্যের ধর্মকে হেয় করা, অন্যের ধর্ম ধর্ম নয় নিজের ধর্মই সেরা এই ব্যাপারটুকু একটা বাচ্চাকে একেবারে শৈশব থেকেই মুখস্থ করিয়ে ফেলেন তাদের বাবা কিংবা মায়েরা। এটি কি আসলে কোনো ইনফেরিয়র জটিলতা থেকে তৈরী হওয়া একটি ব্যাপার? এটি কি আদতে কোনো অসুখ নাকি এটা এক ধরনের অস্থিরতা?
আমি জানিনা।
কিন্তু মুসলমানদের এই যে হিংসা ও বিদ্বেষ, এটি যদি বন্ধ না হ্য কিংবা এর প্র্যাক্টিস যদি শেষ না হয় তাহলে বলতে হবে সামনের সময়ে এই ধর্মটি নিঃশেষ হয়ে যেতে বাধ্য। কেননা আপনি একের পর এক হিংসার বীজ বপন করে যাবেন আর অন্যেরা সেটা সহ্য করে যাবে এমন ভাবার একেবারেই কোনো কারন আমি দেখিনা। যদিও প্রতিটি ধর্ম নিজেদের হামবড়া ভাবে দেখবার ব্যাপারে বেশ সপ্রতিভ কিন্তু মুসলমানদের বেলাতে সেটি যেন কয়েক গুন বেশী সবাইকে ছাড়িয়ে যায়।