সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নিরাপদ সড়ক নিয়ে আন্দলোন হয়ে যাচ্ছে এবং এই ব্যাপারে মানুষ সরব। এমন একটা সময়ে আমি আসলে ভাবছিলাম এই নিরাপদ সড়কের আন্দোলন এবং এই ব্যাপারে কিছু লেখা দরকারী বলেই আমি মনে করি।
নিরাপদ সড়ক আমি চাই। কারন এই সড়কেই আমি চলাচল করি, আমার বাবা চলাচল করে, ভবিষ্যতে আমার কন্যাও চলাচল করবে। তাদের নিরাপত্তা চাওয়াটা আমার অধিকার। এই দাবী নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে আমার মৌলিক দাবী। এটা কোন অন্যায় নয়, অপরাধও নয়। এই ক’দিনে আমি আসলে বুঝার চেষ্টা করেছি, কোথায় মূল সমস্যাটা? শুধুই কি আইন? কিছু আইন বদলালেই কি বদলে যাবে সব? অল্প সময়ে যতটুকু জেনেছি, তাতে বুঝলাম, আমরা মূল সমস্যা থেকে অনেক দূরে আছি। অনেক বড় লেখা, সময় থাকলে পড়তে পারেন।
২০১১ সালে ‘সড়ক পরিবহন আইন’ খসড়া করা হলো বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু ঘটলে চালকের ১০ বছর কারাদন্ড রেখে, পরিবহন মালিক শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারনে তা বাস্তবায়ন হলো না। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে পরের খসড়ায় সেই কারাদন্ড কমে ৫ বছর করা হলো। তাতেও নারাজ পরিবহন মালিক শ্রমিকরা। পরে তা কমিয়ে ৩ বছরের কারাদন্ড রাখা হয়। এবার ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ আইনে বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালানোর কারণে কেউ গুরুতর আহত বা নিহত হলে মামলা হবে দণ্ডবিধির ৩০৪ (খ) ধারায় সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যা প্রমান হলে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে নতুন খসড়া করা হয়েছে। আজ তা মন্ত্রীসভায় উথ্থাপিত হয়েছে, আশা করি খুব শীঘ্রই তা সংসদে তা পাস হবে।
কিন্তু, আসলে আইন করলেই কি রাতারাতি দূর্ঘটনা কমে যাবে? এতদিনের আইনেও তো দূর্ঘটনায় চালকের ৩ বছরের সাজা ছিল, ক’জন চালকের সেই সাজা হয়েছে? একজনেরও না। তাহলে? উল্টো মৃত্যুদন্ড রেখে আইন পাস হলে পরিবহন শ্রমিকরা মানে চালকরা আবার ধর্মঘটে যেতে পারে। মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে তারা গাড়ী চালাবে না। আসলে কেউ-ই কি ইচ্ছে করে মানুষ হত্যা করে? কোন চালক কি ইচ্ছে করেই রাস্তার পাশের মানুষের উপর গাড়ি উঠিয়ে দেয়? আমি বিশ্বাস করি না। এই যে গাড়ীর চালকরা বেপরোয়াভাবে গাড়ী চালাচ্ছে, মারাত্মক মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ ছিড়ে যাচ্ছে, পিষে যাচ্ছে, এগুলোর পিছনে আসল কারন সিস্টেম। ফাঁসি যদি দিতে হয়, তাহলে বর্তমান সিস্টেমের ফাঁসি দিন।
পৃথিবীর কোন দেশই সড়ক দূর্ঘটনামুক্ত না। দূর্ঘটনা ঘটবেই, তবে তা যেন আমাদের সিস্টেমের ভুলের কারনে বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মূলতঃ দেশে সড়ক দূর্ঘটনার কারনগুলো কি কি? প্রথমতঃ একটি দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার উপর সেই দেশের অনেক কিছু নির্ভর করে। যেমন খাদ্যসামগ্রীর, কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রিত হয় পরিবহন ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। সারাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকলে দেশের বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়। যা একটি সরকারের জন্য হুমকি স্বরূপ। দীর্ঘমেয়াদী অন্যান্য আন্দোলন ততটা ইফেক্ট করে না যতটা পরিবহন আন্দোলনে হয়। তাই প্রতিটি সরকার পরিবহন সেক্টরে তেমন কঠোর হতে পারে না। কিছু বললেই তারা আন্দোলনে চলে যায়। সরকার বেকায়দায় পরে যায়।
এই সুযোগে আমরা ইচ্ছে করলেই কঠোর থেকে কঠোর আইন করতে পারবো না, আর করলেও কি লাভ? সেই আইনে কি বিচার পাবে মানুষ? সে ভিন্ন আলাপ। আসল কথা হলো সিস্টেমটাকে বদলাতে হবে। তাহলেই অনেকাংশে সড়ক দূর্ঘটনা নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে। কিভাবে? বর্তমানে দেশে প্রায় দুই লক্ষাধিক ভারী যানবাহন (বাস, ট্রাক) চলাচল করে। কিন্তু বিআরটিএ এর বৈধ ড্রাইভার আছে এক লক্ষর মতো। এর মধ্যে আবার সবাই যে প্রশিক্ষিত ড্রাইভার তাও কিন্তু নয়। বেশীরভাগই টাকার বিনিময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া এতটাই সহজ এই দেশে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে বাকী গাড়ীগুলো কারা চালাচ্ছে? সহজ উত্তর বিনা লাইসেন্সধারী চালকরাই চালাচ্ছে।
খোদ ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে চলাচল করে অসংখ্য কোম্পানীর বাস। গেইটলক, সিটিং সার্ভিস বিভিন্ন নামে শতাধিক বাস চলে শহরের বিভিন্ন রুটে। ফলে শুরু হয় সবার আগে বেশী বেশী যাত্রী সংগ্রহের প্রতিযোগিতা। অশুভ এই প্রতিযোগিতার ফলে গাড়ীতে গাড়ীতে ঘর্ষন, ওভারটেকিং, ধাক্কাধাক্কি লেগেই থাকে। ফলে লক্ষ্য করলে দেখবেন, বেশীর ভাগ গাড়ীর লুকিং গ্লাস ভাঙ্গা। কারন অশুভ রেসিং। এই রেষারেষির কারনে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে গিয়ে ঘটে যায় দূর্ঘটনা। ফুটপাতে মানুষের উপর উঠে যায় বাস কিংবা দুই গাড়ীর মাঝে পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যায় মানুষ, হাত ছিড়ে যায় রাজীবের, কিংবা গাড়ীর চাকার নিচে পিষ্ট হয় বাইকার।
বাসগুলোর মধ্যে প্রতিযোগীতা বন্ধ করতে হবে সবার আগে। তার জন্য যেটা করতে হবে, তা হলো সিস্টেম বদলাতে হবে। একই রুটে একাধিক বাস চলতে দেয়া যাবে না। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক একটি পরিকল্পনা করেছিলেন যে, পুরো ঢাকা শহরে মোট ৬টি রঙের বাস চলবে এলাকাভিত্তিক। সেখানে নির্দিষ্ট সকল মালিকের বাসই থাকবে। রেশিও অনুযায়ী সবাই টাকা পাবে। তাতে কারোই লস হবে না। চালক, হেলপারদের দিনমজুরী থেকে বেতনভূক্ত করতে হবে। তাতে অতিরিক্ত আয়ের জন্য বেপরোয়া হতে হবে না।
উন্নত রাষ্ট্রের মতো শহরের প্রধান সড়কে অনলাইন সিসিটিভি ট্রাফিক সিস্টেম চালু করতে হবে। যেখানে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে অটোমেটিক মামলা হবে। ফলে দুর্নীতির কোন সুযোগ থাকবে না। এবং কেউ ক্ষমতার অপব্যবহারও করতে পারবে না। যেই ট্রাফিক আইন অমান্য করবে, সাথে সাথে ক্যামেরা থেকে নাম্বার দেখে গাড়ীর বিরুদ্ধে মামলা করে দিবে সফটওয়্যার। এমনটি পাশের দেশ পশ্চিমবঙ্গেও বর্তমানে সচল আছে। যার সুফল ভোগ করছে তারা। আমরাও এমনটি করে দিলে একদিকে যেমন ট্রাফিক আইন কেউ সহজে ভাঙ্গবে না। অপরদিকে দুর্নীতি বন্ধ হবে, ট্রাফিকের উপর চাপও কমে আসবে। ফলে দূর্ঘটনাও কম হবে। এতো গেল ঢাকার ভিতরের সমস্যার সমাধান।
এবার আসি সমগ্র বাংলাদেশের সড়ক দূর্ঘটনা কমানোর কি উপায় সেই বিষয়ে। গত সাড়ে তিন বছরে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২৫ হাজার ১২০ জন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ২০ জন। এই সময়ে আহত হয়েছেন ৬২ হাজার ৪৮২ জন। এসব দুর্ঘটনার ৯০ শতাংশ ঘটেছে চালকের বেপরোয়া মনোভাব ও অতিরিক্ত গতির কারণে।
এই দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া কতটা সহজ তা আগেই বলেছি। তাই আমাদের প্রয়োজন যোগ্য প্রশিক্ষিত ড্রাইভার। আমার বিশ্বাস কোন যোগ্য, প্রশিক্ষিত চালক কখনো বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায় না।
ড্রাইভার তো অনেক আছে কিন্তু সড়কে চলতে গেলে যে কিছু নিয়মকানুন আছে, সাংকেতিক ভাষা আছে তা জানতে হয়, এই বিষয়টা অজানাই রয়ে যায় বেশীরভাগ ড্রাইভারদের কাছে। খোলা মাঠে গাড়ী চালানো আর প্রধান সড়কে গাড়ী চালানোর মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য আছে। তাই সরকারীভাবে সকল চালকদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশিক্ষনের জন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রশিক্ষন কেন্দ্র খোলা যেতে পারে। যেখানে চালকদের গাড়ী চালনার প্রশিক্ষন দেয়া শেষে একটি সার্টিফিকেট দেয়া হবে। এবং সিস্টেম করতে হবে, ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করার সময়ই ‘গাড়ী চালনা প্রশিক্ষন কোর্স সার্টিফিকেট’ জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। আগে প্রশিক্ষন, তারপর ড্রাইভিং লাইসেন্স। তার আগে নয়।
গাড়ীর ফিটনেস পরীক্ষার দায়িত্ব বিআরটিএ’র। কিন্তু সত্য হলো ভারী কোন যানবাহন (বাস, ট্রাক) ফিটনেস পরীক্ষা করাতে বিআরটিএ অফিসে নিয়ে যেতে হয় না, মালিক শুধু ফিটনেসের কাগজটা নিয়ে যায়, টাকা দেয় (ঘুষ), ফিটনেস ওকে হয়ে যায়। বিআরটিএ এর কর্মকর্তারা গাড়ী চোখেও দেখে না, বুঝেও না গাড়ীর কন্ডিশন কি? রাস্তায় ট্রাফিক কিন্তু সেই কাগজটাই শুধু দেখে। সে কিভাবে বুঝবে এই গাড়ির ব্রেক ঠিক আছে কিনা, চাকা ঠিক আছে কিনা, স্ট্রিয়ারিং ঠিক আছে কিনা? কাগজে তো গাড়ী ওকে, কিন্তু বাস্তবে?
সরকারীভাবে ৪টি জেলায় ৪টি স্ক্যানিং মেশিন কেনা হয়েছিল। যা দিয়ে গাড়ী স্ক্যান করে দেখা যাবে গাড়ীর কোথায় কোথায় সমস্যা। দূর্ভাগ্যজনক সত্য হলো, ৪টি মেশিনকেই নস্ট করে রেখেছে বিআরটিএ। বিভিন্ন সড়কে গাড়ীর ওয়েট মেশিন বসানো হয়েছিল। যার বেশীর ভাগই অকোজো করে রাখা হয়েছে, কারা করেছে? কেন, কোন উদ্দেশ্যে করেছে? তার উত্তর খুঁজতে হবে।
এইসব কিছুর জন্য ‘বিআরটিএ’ নামক সরকারী প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে সবার আগে। কোন চালক যেন বিনা পরীক্ষায়, বিনা প্রশিক্ষনে ড্রাইভিং লাইসেন্স না পায়, এর নিশ্চয়তা করতে হবে। গাড়ীর ফিটনেস পরীক্ষা ব্যতিত যেন কোন গাড়ী ফিটনেস সার্টিফিকেট না পায়, তার নিশ্চয়তা করতে হবে। তার জন্য আইন করা কঠোর আইন করা দরকার বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। বিআরটিএ আর বিটিআরসি ঠিক থাকলে দেশের সকল অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা কমে যাবে।
আরেকটি বিষয়ে অবশ্যই অবশ্যই নজর দিতে হবে যে, দেশে গাড়ীর সংখ্যার তুলনায় কোনভাবেই যেন চালকের সংখ্যা কম না হয়। বরংচ গাড়ীর সংখ্যার দ্বিগুন থাকা উচিত চালক। কারন লং ড্রাইভে এক চালকের পক্ষে ৫ ঘন্টার বেশী ড্রাইভিং করা উচিত না। তাই গাড়ী প্রতি অন্ততঃ দুইজন চালক থাকা প্রয়োজন। দেশে প্রচুর গাড়ী আমদানী অলরেডি হয়ে গেছে। যা এখন উন্নয়নের বদলে রাস্তায় লাশের মিছিল সৃষ্টি করছে। এর লাগাম টেনে ধরতে হবে এখনি।
প্রাইভেট গাড়ীর পাশাপাশি সরকারী গাড়ীগুলোকেও করতে হবে দুর্নীতিমুক্ত। এক বিআরটিসি সততার সাথে কাজ করলে দেশে পরিবহনের কোন ঝামেলা থাকার কথা না। অথচ ভাল গাড়ীগুলো নষ্ট করে ফেলে রাখে এরা। সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট করে অসংখ্য বাস পরে আছে বিআরটিসিতে। যা দেশে চলাচল করলে সরকারকেও আর জিম্মি হয়ে থাকতে হতো না পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের আন্দোলনের কাছে। প্রাইভেট বাসের মালিক-শ্রমিকরা আন্দোলন করলে সরকারী বাস ট্রাক দিয়ে প্রয়োজনে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা হবে। তাতে একটি দেশের সরকার এভাবে কোন বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি থাকত না।
শেষে একটা প্রশ্ন করি- আপনি যদি দেখেন কোন মূর্খ (নিরক্ষর) এক লোক পান চিবুতে চিবুতে বা সিগারেট টানতে টানতে গিয়ে বিমানের ককপিটে গিয়ে বসছে। লোকটাকে দেখেই বলে দেয়া যায় লোকটা বকলম। আপনি কি সেই বিমানে উঠবেন? আপনাকে না চিনেও আমি শতভাগ নিশ্চিত, আপনি উঠবেন না। কারন ‘পাইলট’ শব্দটা আমরা সম্মানের চোখে দেখি এবং জানি পাইলটদের অনেক শিক্ষিত হতে হয়। কারন তাদের হাতেই থাকে মহামূল্যবান বিমান, শতাধিক যাত্রীর জীবন।
বাসের ক্ষেত্রেও তো ভাই একই বিষয়। পাইলট হলেও সে তো চালক-ই, নাকি? জীবনটাও তো একই মূল্যের। বিমানে মরলেও আপনিই মরবেন, বাসে মরলেও আপনিই মরবেন। আর মৃত্যু তো মৃত্যুই, একবারই আসে।
মূল সমস্যাটা হলো, আমরা বিমানের চালককে সম্মান করি, কারন তারা শিক্ষিত আর বাসের চালককে অসম্মান করি, কারন তারা অশিক্ষিত, মূর্খ। এখন কথা হলো, বাসের চালকরা মূর্খ কেন? কারন শিক্ষিতরা এই পেশায় আগ্রহী না, এবং এই সমাজও এই পেশাটাকে সম্মানের চোখে দেখে না। তাই বাস চালনার চাকুরীটাকে সম্মানজনক পেশায় নিতে হবে। এখানেও উচ্চতর শিক্ষিতদের এগিয়ে আসতে হবে। এইম ইন লাইফে পাইলট হবার অপশনের পাশাপাশি বাস ড্রাইভার হবারও অপশনও থাকতে হবে। তবেই না পরিবর্তন আসবে।