আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার কোনও খবর, ছবি বা ভিডিও নেই। এমনকি চিহ্নিত সরকার-দলীয় প্রচারমাধ্যমেও এরকম খবর পেলাম না। সরকার-দলীয় যে গ্রুপটি লাঠিসোটা, অস্ত্রশস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছিল—তারা পাল্টা ধাওয়া খেয়ে আওয়ামী লীগ অফিসে আসে; এটুকু খবরই পাওয়া যাচ্ছে। এটাকে তারা অফিসে হামলা বলতে চাইছেন? এই খবরটাইতো সবচেয়ে গুজব।
গুজব ছড়ানোর জন্য আরেকটি সহায়ক কাজ হচ্ছে, মিডিয়াকে নিস্ক্রিয় করা। ক্যামেরা ভাঙচুর, ভিডিও করতে বাধা, সংবাদকর্মীর উপর শারিরীক হামলা—এই কাজগুলিও আজ সরকার-দলীয়রাই করেছেন। এমনিতেই মিডিয়ার সেন্সরশীপ, স্বপ্রনোদিত দালালী ইত্যাদি কারণে তাদের উপর মানুষের আস্থা কম; এবং ওখানে আজ যা যা হয়েছে (গুলি, ডেইলি স্টারের একজন নারী সাংবাদিক সরকার-দলীয়দের হাতে মলেস্ট হয়েছেন বলে ফেসবুকে জানিয়েছেন) তার প্রেক্ষিতে খুন বা রেপের খবর ছড়িয়ে পড়া খুবই সম্ভব। বিশেষত খবর পরিবেশনে মিডিয়াকে বাধা দেয়ার প্রেক্ষিতে।
সরকারি দল গতকাল থেকেই আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, আজ বিনা উস্কানীতে শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করেছে। এই পুরো ঘটনার দায় তাদের। আমরা যেন ‘গুজব’ শব্দটার পর্দা সরিয়ে সেই সত্যটাকে জোরালো ভাবে বলতে পারি।