Atheist Chapter

বেহেশতে অবস্থানকারী হুরগণের বর্ণনা।

কোরানের সর্ববহুল পরিচিত একটি সূরা হলো আর রাহমান(৩৭)। এই সূরার ৫৬ নং আয়াতে বেহেস্তের হুরদের সম্পর্কে বলা হয়েছে,

“তথায় থাকবে আনত নয়না রমনীগন, যাদেরকে জীন ও মানুষ কখনো স্পর্শ করেনি” – ৩৭:৫৬
৭০ নং আয়াতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বেহেস্তের লোভ দেখাচ্ছেন এই বলে যে,
“সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমনীগণ”- ৩৭:৭০

কাউকে এমনভাবে আনত নয়না, কুমারী যোনি সম্পন্ন সুন্দরী রমনীর লোভ দেখানো অশ্লীলতার পর্যায়ে পড়ে না কী? আবার একই সূরার ৭২ নং আয়াতে বলা হচ্ছে,

“(বেহেস্তে থাকবে)তাবুতে অবস্থানকারী হুরগন” ৩৭:৭২

তৎকালীন আরবের যৌনকর্মীদের একটা অংশ ছিলো ভ্রাম্যমান, যারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে ঘুরে ক্ষুন্নিবৃত্তি করতো। তারা শহর বা কোন বসতির আশেপাশে তাবু টানিয়ে অবস্থান করতো। কোন গ্রন্থে যদি কাজের বিনিময়ে এমন করে তাবুতে অবস্থানকারী যৌনকর্মীদের লোভ দেখনো হয়, তাহলে সেই গ্রন্থ কি অশ্লীলতা মুক্ত হবে?

জান্নাত সম্পর্কে কোরানে সূরা বাকারার ২৫ নং আয়াতে বলা হচ্ছে,

“ আর হে নবী (সাঃ), যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে” – ০২:২৫

জান্নাতের বর্ণনা খুঁজতে গেলে কোরানের ৫৬ নং সূরা আল ওয়াকিয়ার কয়েকটি আয়াতে যা পাওয়া যায়ঃ

“ আর সেখানে তাদের সাথে থাকবে পবিত্র দৃষ্টিসম্পন্ন সাথিরা, ঝিনুকের ভেতরে সংরক্ষিত মুক্তোর ঔজ্জ্বল্য নিয়ে” – ৫৬:২২-২৩
“ উঁচু আসনে তাদের সাথে থাকবে তাদের সাথিরা, সম্পূর্ণ নতুন করে সৃষ্টি করবো তাদের, অনন্ত যৌবনের বিকশিত সৌন্দর্যে তারা হবে প্রেমময় অনুগত সমকক্ষ”- ৫৬:৩৪-৩৭

ভাবতে অবাক লাগে, মুসলমানেরা ঝিনুকের মুক্তো রঙা, অনন্ত যৌবনা নারীর প্রলোভনকে অশ্লীল মনে করে না। কারণ, তা কোরানের কথা! আর এই সুরাটির ১৭-১৯ নং আয়াতে যে চিরকিশোর দ্বারা মদ পরিবেশনের কথা বলা হয়েছে তা না হয় নাই বললাম।

একইভাবে ৩৭ নং সূরা সফের ৪৮ নং আয়াতে বলা হচ্ছে,
“তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ”-৩৭:৪৮

৫২ নং সুরার ২০ নং আয়াতে দেখুন,
“তারা শ্রেণীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব” ৫২:২০
৭৮ নং সূরা আন নাবার ৩১-৩৩ নং আয়াতে আছে,
“৩১। পরহেযগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য ৩২। উদ্যান, আঙ্গুর, ৩৩। সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী” ৭৮:৩১-৩৩

৩৮ নং সূরা সোয়াদ এর ৫২ নং আয়াতের সরলার্থ,
“তাদের কাছে থাকবে আনতনয়না সমবয়স্কা রমণীগণ”-২৮:৫২

কি চমৎকার! জান্নাত মানেই রমনী, অনন্ত যৌবন। কাউকে চিরকুমারী রমনীর লোভ দেখানো কি অশ্লীলতা নয়?

একটি ১৮+ প্লাস বই ?

কুরআন একটি ১৮+ বই । আর ১৮+ বই, ১৮ বছরের কম বয়সীদের পড়া নিষেধ । কেন বললাম ? বলছি ! আপনাদের মধ্যে অনেক মুমিন আছেন, যাদের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েকে কুরআন শিক্ষা দিয়ে থাকেন । যদি এই শিশুরা তাদের পিতা-মাতাকে নিচের আয়াতগুলো বুঝিয়ে দিতে বলে বা প্রশ্ন করে, তারা কীভাবে বোঝাবেন, আমি জানি না। এই আয়াতগুলো কমবয়সী কোনো শিশুকে নিশ্চয় বুঝানো উচিত নয়।
সুতরাং আমি বলব, আপনার ছোট ছোট বাচ্চাদের কুরআন পড়তে দিবেন না, আর অর্থসহ তো অবশ্যই নয়। কারণ কুরআন একটা ১৮+ প্লাস বই !

আর ১৮+ প্লাস বই ১৮ বছরের কম বয়সীদের পড়া নিষেধ।
নিচের আয়াত/আয়াতাংশগুলো পড়ুন, আর বলুন, কী করে আপনার ছোট ছোট সন্তানদের বোঝাবেন।

কুরআন কি তাহলে একটি ১৮+ প্লাস বই ?
কুরআন-৩৮:৫২
“আনতনয়না সমবয়স্কা রমণীগণ”

[কুরআন-২:২৫] “সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে”

[কুরআন-২:১৮৭] “রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে।”

[কুরআন-২:১৮৭] “অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর”

[কুরআন-২:২২২] “তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে…।”

[কুরআন-২:২২৬] “যারা নিজেদের স্ত্রীদের নিকট গমন করবে না বলে কসম খেয়ে বসে তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ রয়েছে…।”

[কুরআন-২:২৩৪] “আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা। ”

[কুরআন-৩:১৫] “আর রয়েছে (বেহেস্তে) পরিচ্ছন্ন সঙ্গিনীগণ”

[কুরআন-৪:১৫] “তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারিণী”

[কুরআন-৪:১৯] “বলপূর্বক নারীদেরকে উত্তরাধিকারে গ্রহন করা তোমাদের জন্যে হালাল নয়”

[কুরআন-৪:১৯] “কিন্তু তারা যদি কোন প্রকাশ্য অশ্লীলতা করে!”

[কুরআন-৪:৩৪] “তাদের (অবাধ্য নারী) শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর।”

[কুরআন-৪:৫৭] “সেখানে (বেহেস্তে) তাদের জন্য থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্ত্রীগণ।”

[কুরআন-৭:২২] “অনন্তর যখন তারা বৃক্ষ আস্বাদন করল, তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের সামনে খুলে গেল”

[কুরআন-১২:২৩] “আর সে যে মহিলার ঘরে ছিল, ঐ মহিলা তাকে ফুসলাতে লাগল এবং দরজাসমূহ বন্ধ করে দিল। সে মহিলা বললঃ শুন! তোমাকে বলছি, এদিকে আস, সে বললঃ আল্লাহ।

Mdh Mahadi

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.

Most popular