Atheist Chapter

সমকামী মানুষ কেন হয় পর্ব -২

মানুষের জিন কে যে ভাবে কোডিং বা ডিএনএ বিন্যস্ত করা হয় সে সেরকমই বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। এখানে মানুষের কোন হাত নাই। সব জীবিত প্রানীর বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয় জেনেটিক কোডিং দ্বারা। তাই প্রকৃত সমকামী ব্যাক্তিকে দোষারুপ করা যৌক্তিক বলে মনে হয় না। আসলে তার নিজের কিছু করার থাকে না। সে প্রকৃতির রহস্যময়তার শিকার  এর বড় প্রমাণ আমি। যে কারণে মানুষ সমকামী হয় তার ধারাবাহিকতায় পর্ব ২ নিয়ে আজ লিখছি …

৫) নারীর উর্বরতাঃ গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে সমকামী পুরুষদের নারী আত্মীয়রা অধিক সন্তান জন্ম দেয়। অর্থাৎ সমকামীতার সাথে নারীর উর্বরতার একটা ইতিবাচক সংযোগ আছে। তাহলে কী এই কারণে সমকামিতার মত অনুপযোগী একটা বিষয় বিবর্তনীয় ছাঁকনিতে এভাবে টিকে গেলো?- এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় কি?। [জীববিজ্ঞানের অন্যান্য প্রাণিতে উর্বরতার সাথে সমকামিতার এই সংযোগ নিয়ে পড়তে পারেন, ইস্টিশনে খ) ]

৬) হ্যান্ডেডনেস বা কে কোন হাত ব্যবহার করবে: অসংখ্য গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, যারা বাহাতি এবং ডান হাত ব্যবহার করেন না; তাদের মধ্যে সমকামিতা অধিক হারে দেখা যায় (অনেকগুলো রিসার্চ একসাথে দেখে নিন, এখান থেকে)।

৭) প্রযুক্তিগতঃ অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি সমকামিতার সাথে প্রযুক্তির একটা গভীর সংযোগ সামনে চলে এসেছে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা তৈরী করেছেন, যে বুদ্ধিমত্তা একজন মানুষের চেহারা দেখেই সে সমকামী না বিষমকামী তা নির্ধারণ করে ফেলতে পারবে। গবেষকরা এটা বলছেন, এই বিষয়টা সমকামিতা যে জন্মের আগে থেকেই নির্ধারিত; এই তথ্যটিকে নিশ্চিত করে। কারণ হলো; একজন মানুষের চেহারা কেমন হবে, তা তার জিন, তার জন্মপূর্ব হরমোনগুলোই নির্ধারণ করে, তাই প্রযুক্তি যেহেতু মানুষের চেহারা দেখেই ধরতে পারছে, সে সমকামি না বিষমকামী; অতএব, এই কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, যৌন অভিমুখিতা নির্ধারণে প্রকৃতিই ভুমিকা রাখে।

৮) পার্থক্য: সমকামী ও বিষমকামী মানুষদের মধ্যে আরো অনেক পার্থক্য দেখা গিয়েছে। এরকম কিছু পার্থক্য গুলো তুলে ধরি

A) গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সমকামী পুরুষদের শিশ্ন, বিষমকামীদের তুলনায় দীর্ঘ ও মোটা হয়।

B) সমকামী পুরুষদের বাম হাতের বুড়ো আঙুল এবং কড়ে আঙুলের ছাপ ঘনতর হয়।

C) শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে করা গবেষণায় দেখা গিয়েছে সমকামী পুরুষদের বাহু এবং হাতের দৈর্ঘ্য সাধারণ জনসংখ্যার তুলনায় ছোট হয়।

D) সমকামী নারী এবং উভকামী নারীতে চকিত প্রতিক্রিয়া পুরুষের মতো হয়ে থাকে। (চকিত প্রতিক্রিয়া বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে, উচ্চ আওয়াজ শুনলে আমরা চোখের পাতা যেভাবে নাড়াই বা হঠাৎ আমরা যে প্রতিক্রিয়া দেই সেসব)

এটা আমি বা প্রখ্যাত বিজ্ঞানীদের কেওই বলছে না, সমকামিতা সম্পূর্ণভাবে এই সব কারণের জন্যই হয়, সমকামিতার সাথে আরো অনেক বিষয় জড়িত থাকতে পারে। কেউ যদি ইচ্ছা করে সমকামিতাকে ফ্যাশন হিসাবে ন্যায়, সেটা তার দায়ভার। কিন্তু এইসব গবেষণার ফলাফল থেকে যে বিষয়টা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলা যায়; তা হলো সমকামিতা প্রাকৃতিক হবার চান্স অনেক বেশি উচ্চতর। সমকামিতার সাথে মনস্তাত্বিক সমস্যা, রাজনৈতিক বিষয়গুলো, মানবাধিকার, ধর্মীয় নানা কারণ, যৌন রোগ সহ নানা বিষয় জড়িয়ে আছে, যদি কখনো পারি, তবে তা নিয়ে লিখব, আপাতত জীববিজ্ঞানের অংশটাই থাকুক।

আমার সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন হোমোসেক্সুয়াল ।আমিও বিঙ্গানের ছাত্র ,সমকামিতাকে বিজ্ঞান দিয়ে আনুধাবন করি না আমার জীবন দিয়ে করি।আমরা যা ভাবি জীবন আসলে এর চেয়ে অনেক বেশি শেখায় আমাদের। আমাদের কাছে মানুষের মূল্যবোধ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা কার অজানা নয়। মানুষ মানুষকে ব্যাবহার করে তাঁদের সুযোগ সুবিধা মতো। সমাজ বলে সমকামিতা জায়েজ না তার মানে জায়েজ না। কিন্তু যে স্বাভাবিক ভাবে সমকামী হয়ে জন্মায় তার কথা কেউ ভাবে না এটাই হয়ত স্বাভাবিক । কিন্তু আমার কাছে অস্বাভাবিক। কারণ আমিও মানুষ।

Khairulla Khandaker

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.

Most popular