Atheist Chapter

আল্লাহ বলতে কেউ নেই, সবই মুহাম্মদের তৈরি!

ভাইরে ভাই “মুহাম্মদ” আর “আল্লাহ্” এই দুইটা একই জিনিস।

তবে মুহাম্মদ এবং আল্লাহ্ এরা যে দুই ব্যক্তি, সেই বিষয়টি প্রমাণ বা বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য তিনি কিছু কৌশল অবলম্বন করতেন।

এবার প্রশ্ন: কি সেই কৌশল?

কৌশল হচ্ছে এই যে, এই দুই জন যে দুই ব্যক্তি, সেটি বিশ্বাসযোগ্য করাবার জন্য মুহাম্মদ আল্লাহকে দিয়ে মাঝে মাঝেই নিজেকে “ধমক” খাওয়াতেন, কথোপকথন টাইপ আয়াত বা সূরা নাজিল করতেন। কোরআনের বিভিন্ন সূরা সমূহে তা স্পষ্টভাবেই রয়েছে। মনে সন্দেহ থাকলে আজকে আবারও দেখে নিতে পারেন।

যেমন ধরুন “সূরা আবাসা”, এই সূরাতে মুহাম্মদ তাঁর ভুলের জন্য আল্লাহ্কে দিয়ে ধমক খাওয়ালেন এবং এই সূরাটি নাজিল করলেন। ঠিক একই কাজ করেছের “সূরা আহজাব” এ। এখানেও তিনি আল্লাহ্ কে দিয়ে নিজেকে ধমক খাওয়ালেন। (আমার কথা বিশ্বাস না হলে এই সূরা দুটো বাংলা অর্থসহ পড়ে দেখুন)

অর্থাৎ সে যখন কোনও ভুল করতো, সাহাবীরা মনে কষ্ট পেত, তারা বলাবলি করতো যে নবীজি আমাদের সাথে এমন করতে পারলো। মুহাম্মদ বেসিক্যালি তখনই সাহাবীদের কে সন্তুষ্ট করার জন্য আল্লাহ্ কে দিয়ে নিজেকে ধমকের নাটক করে সূরা বা আয়াত নাজিল করতেন। সাহাবীরাও খুশি হতেন।

আর একটি বিষয়:

আচ্ছা আপনারা কি “সূরা আত তাহরীম” নাজিল হওয়ার ইতিহাস জানেন?আমার তো ধারণা অনেকেই জানেন। তারপরও যে বা যারা জানেন না তাদের জন্য ঘটনাটি বলছি। সন্দেহ হলে বুখারী শরীফেও আছে, দেখে নিয়েন।

সূরা আত তাহরীম এ বিষয়টি এমন ছিল যে, মুহাম্মদ হাফসার ঘরে দাসী মারিয়া আল কিবতিয়ার সাথে সেক্স করে ধরা খেলেন, বিষয়টিতে হাফসা মন খারাপ করলেন। তখন মুহাম্মদ হাফসাকে শান্তনা দিয়ে বললেন “যাও আমি আর কখনো সেক্স করবো না, তুমি দয়া করে আয়েশাকে বিষয়টি বলোনা”।

কিন্তু হাফসা মুহাম্মদের কথা শুনলেন না, তিনি গিয়ে ঠিকই আয়েশাকে বলে দিলেন। এরপর স্বাভাবিক ভাবেই আয়েশা মুহাম্মদকে জিজ্ঞেস করলো যে আপনি এই কজটি কেন করলে? আয়েশা বেশ রাগও করেছিলেন মুহাম্মদের উপর।

ঠিক তখন মুহাম্মদ আর একটুও দেরি না করে সাথে সাথেই আল্লাহকে দিয়ে আয়াত (সূরা আত তাহরীম) নাজিল করালেন এমন যে “হে নবী, আল্লাহ যে জিনিস হালাল করেছেন (মানে দাসীর সাথে সেক্স করা) তা তুমি হারাম করছো কেন?

আসলে মুহাম্মদ তাঁর নিজের সুবিধার জন্য সময় অসময় এই কজগুলো করতেন।

সূরা আত তাহরীম এর প্রথম কিছু অংশ অর্থসহ পড়ে নিন।

﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ ۖ تَبْتَغِي مَرْضَاتَ أَزْوَاجِكَ ۚ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ﴾

১) হে নবী, আল্লাহ যে জিনিস হালাল করেছেন তা তুমি হারাম করছো কেন? (তা কি এ জন্য যে,) তুমি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি চাও? আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং দয়ালু ৷

﴿قَدْ فَرَضَ اللَّهُ لَكُمْ تَحِلَّةَ أَيْمَانِكُمْ ۚ وَاللَّهُ مَوْلَاكُمْ ۖ وَهُوَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ﴾

২) আল্লাহ তোমাদের জন্য কসমের বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত হওয়ার পন্থা নির্ধারণ করে দিয়েছেন৷ আল্লাহ তোমাদের অভিভাবক এবং তিনি মহাজ্ঞানী ও মহা কৌশলী ৷

যাই হোক আজকে আর কিছু লিখবো না, তবে শীঘ্রই আসছি মুহাম্মদের নতুন কোনও বিষয় নিয়ে।তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে নবী রাসুলগন কিভাবে এসেছেন, জিব্রাইল আঃ কে মুহাম্মদ একাই দেখতেন এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আর একদিন লিখবো।

Mdh Mahadi

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.

Most popular