Atheist Chapter

৭২ হুরপরির স্বপ্ন এবং জঙ্গিবাদ, পর্ব -২

জঙ্গিবাদের প্রশারনায় ইসলামের ভূমিকা স্পষ্ট। ধমিও গ্রন্থ গুলোতে এর যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। মানুষদের জিহাদি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত করার জন্য এই বিগুল দিয়ে তাঁদের কয়ে সিক্কা দেয়া শুরু করা হয়। আর ছট বেলা থেকেই মুসলিম ঘরের বাচ্চাদের পাঠান হয় মাদ্রাসায়, সেখানে যারা অমুসলিমদের ঘৃণা করেন, সেই হুজুররা এসকল বিষয়গুলোকে সামনে তুলে ধরে, ছট বেলা থেকেই মনের মধ্যে এসকল বিষবাক্য মগজের মধ্যে ভহাল করে ঢুকিয়ে দিয়ে এদেরকে দিয়েই জিহাদি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। এরকম আরও অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে যা আলোচনা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আমরা এদের ভয়াবহ প্রয়োগ সম্পর্কে অবগত নই। তাই জেনে নেয়া ভালো।

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, “রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, বেহেশতে সর্বনিম্ন মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিও সাতটি স্তর লাভ করবেন। সপ্তম স্তরের নিম্নে, ষষ্ঠ স্তরে থাকাকালীন সময়ে তিনি পাবেন তিনশত ভৃত্য। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় তাঁর সামনে তিনশত স্বর্ণপাত্র উপস্থাপন করা হবে। একটি স্বর্ণপাত্রে যে সামগ্রী থাকবে, সেটি অন্য কোন স্বর্ণপাত্রে থাকবে না এবং উক্ত ব্যক্তি প্রথম স্বর্ণপাত্র হতে যে পরিমান তৃপ্তিলাভ করবেন; সর্বশেষ স্বর্ণপাত্র হতেও একই পরিমান তৃপ্তিলাভ করবেন। তিনি বলবেন, ‘হে আল্লাহ, যদি তুমি অনুমতি প্রদান করো, তাহলে আমাকে প্রদত্ত উপকরনসমূহ থেকে সম্পূর্ণ তৃপ্তিলাভের পরও অবশিষ্টাংশ হতে সমগ্র বেহেশতবাসীকে খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ করতে সক্ষম হবো। নিঃসন্দেহে তিনি জান্নাতি হুরিদের মধ্য হতে ৭২ জন আয়তলোচনা নারী কে স্ত্রী হিসেবে লাভ করবেন; যাদের একেকজনের বিশ্রামস্থলের প্রশস্ততা পৃথিবীর এক বর্গ মাইলের সমপরিমান হবে।”

মুসনাদ আহমদ ইবনে হাম্বল

ইবনে আবি আওফা(রহঃ) হতে বর্ণিত, “রসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন, জান্নাতবাসী প্রত্যেক ব্যক্তি কে চার হাজার কুমারী, আট হাজার দাসী এবং একশত আয়তলোচনা হুরির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেয়া হবে। তারা একে একে সকলেই উক্ত ব্যক্তির সঙ্গে প্রতি সাত দিনের মধ্যে মিলিত হবেন। তাঁরা এত নিখুঁত কণ্ঠে কথা বলবে, যা কোন সৃষ্টি কোনদিন শ্রবণ করে নি। তাঁরা বলবেন, “আমরা শাশ্বত নারী, আমরা কখনোই বৃদ্ধ হবো না, আমরা পরিশীলিত নারী, আমরা কখনোই অপ্রীতিকর হবো না, আমরা সর্বদা পরিতুষ্ট থাকবো, আমরা কখনোই রাগান্বিত হবো না, আমরা সর্বক্ষণ নিজস্ব স্থানে উপবিষ্ট থাকবো, কখনোই আমরা দূরে সরে যাবো না, তাঁর প্রতি আলাহর রহমত বর্ষিত হোক; যিনি আমাদের জন্যে এবং আমরা যার জন্যে!”

আল-‘আযামা তে আবু আল-শায়েখ এবং আল-বা’থ ওয়াল-নুশুর এ আল বায়হাকী

হাতিব ইবনে আবি বালতা’আ (রহঃ) হতে বর্ণিত, “আমি রসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, “জান্নাতে ঈমানদার ব্যক্তিবর্গ কে ৭২ জন নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করানো হবে; তন্মধ্যে ৭০ জন পরকাল জগতের নারী এবং দু’জন হবেন দুনিয়াবী জগতের নারী।”

আল-‘আযামা তে আবু আল-শায়েখ এবং আল-বা’থ ওয়াল-নুশুর এ আল বায়হাকী

আবু হুরায়রা (রহঃ) হতে বর্ণিত, “একদা রসুলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, “আমরা কি বেহেশতে নারীদের সাথে মিলিত হতে সক্ষম হবো?” তিনি উত্তর দিলেন, ‘একজন ব্যক্তি একদিনের মধ্যেই একশত জন কুমারী নারীর সাথে মিলিত হতে সক্ষম হবে।”

আল-সগির ও আল-আওসাত এ আল-তেহরানী, সিফাত আল-জান্নাহ তে আবু নু’য়াম এবং তারিখ বাগদাদ এ আল-খতিব

আমি রসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, “আমি বেহেশতে প্রবেশ করলাম এবং লক্ষ্য করলাম যে, সেখানে অধিকাংশ অধিবাসীই নারী।”

আল-বা’থ ওয়াল-নুশুর এ আল-বায়হাকী এবং তারিখ দিমাশকে এ ইবনে ‘আসাকীর হতে বর্ণিত

:শহীদগণের জন্যে নির্ধারিত ৭০ বা ততোধিক হুরি এর ধারনা টি বিভিন্ন সাহাবা (রহঃ) গণ হতে বর্ণিত হয়েছে:১। সাঈদুনা মিকদাদ ইবনে মা’আদীকারিব (রাঃ) এর বক্তব্যটি ইমাম তিরমিজি তাঁর সুনানে (হাদিস ১৬৬৩) লিপিবদ্ধ করেছেন। ইমাম তিরমিজি উক্ত হাদিস টিকে সহিহ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন।

২। ২। সাঈদুনা উবাদাহ ইবনে সাবিত (রাঃ) এর বক্তব্যটি ইমাম আহমদ তাঁর মুসনাদে (হাদিস ১৭১১৭), ইমাম বাজ্জার তাঁর মুসনাদে এবং ইমাম তাবরানী তাঁর আল-মাজমুয়াল কবিরে (মাজমা-উজ-যাওয়ায়িদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৯৩) লিপিবদ্ধ করেছেন। হাফিজ মুঞ্জিরী (রাঃ) মুসনাদ আহমদে উদ্ধৃত উক্ত হাদিস টিকে হাসান হাদিস হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন (আল-তারগীব খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩২০)। এবং হাফিজ আল-হায়থামী (রাঃ) মুসনাদ আহমদ এবং তাবরানী তে উল্লিখিত সকল হাদিসসমূহ কে নির্ভরযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন।

এবং আল্লাহ তায়ালাই সর্বজ্ঞ।

মওলানা মুহাম্মাদ ইবনে মওলানা হারুন আব্বাসুমার

হাদিসসমূহের বিশিষ্টতা বিষয়ক অনুষদ

একজন শহীদ বা একজন জান্নাতির জন্য জান্নাতে হুরীর সংখ্যা (৭০ নাকি আরও বেশি) কোন হাদিসে এবং কোন বইয়ে বলা আছে

মুফতি ইব্রাহিম দেশাই, Ask-Imam, প্রশ্ন নং ৭০০৭, অক্টোবর ২৯, ২০০২

এই নিবন্ধটি হতে আমরা অন্ততপক্ষে তিনটি বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা লাভ করতে পারি:

১। ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় যে, জিহাদে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন, তাঁরা পুরস্কার হিসেবে ৭২ জন স্ত্রী তথা কুমারী লাভ করবেন।

২। তন্মধ্যে দু’জন নারী হবেন আয়তলোচনা জান্নাতি হুরি আর সত্তরজন হবেন জাহান্নামীদের মধ্য হতে ওয়ারিসী সুত্রে প্রাপ্ত।

৩। এবং এই হাদিসগুলো বিভিন্ন মুসলিম পণ্ডিতগণের মতামত অনুসারে সহিহ বলে গন্য হয়েছে।

পরিবারের লোকজন বাচ্চাকে পাঠায় ধর্ম শিক্ষা দিতে কিন্তু সেখানে গিয়ে বাচ্চারা , কিশোর , তরুণরা শিখছে , কি করে অমুসলিমদের মারবে এবং জানাতে গিয়ে অলীক সুখে গা ভাসিয়ে দেবে। আসলে একজন বাচ্চা যখন ছট থাকে তাকে যা সেখান হয় সেটাই তার মাথার মধ্যে ধুঁকে যায়। সেভহাবেই বর হয়। এর পড় যত যা কিছুই শিখুক না কেন, অই প্রাথমিক শিক্ষা যদি ভাল না হয় সেই বাচ্চার ভবিষ্যৎ অন্থকার। আর এই শয়তান রুপি মানুষ গুলো এ শকল বাচ্চাদের টার্গেট করেই দেশের অমুসলিম মানুষদের প্রতি চরম অবিচার করছেন, টাদেরকে মারছেন, জঙ্গিবাদের প্রসার ঘটাচ্ছেন। আমাদের নতুন প্রজন্ম এদের কাছে কি করে নিরাপদে থাকবে? আপনার ঘরেই হয়ত বসে আছে এক জঙ্গি, আপনার সাথে থাকছে, খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে, কিন্তু আপনি টেরও পাচ্ছেন না। ভাবুন তো বিষয়টা কত ভয়াবহ?

Sultanul Arefin Siam

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.

Most popular