হাদিস: হাদিস : ৩২৫৭-[২০] ত্বলক্ব ইবনু ‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন: কোনো স্বামী নিজ প্রয়োজনে স্বীয় স্ত্রীকে ডাকলে, সে যেন তৎক্ষণাৎ তার ডাকে সাড়া দেয়, যদিও সে চুলার পাশে (গৃহকর্মীর কাজে) ব্যস্ত থাকে। (তিরমিযী)
যখনি স্বামী স্ত্রীকে বিছানায় ডাকবে তখনি ডাকে সাড়া দেয়া স্ত্রীর উপর ফরজ…। যদি ডাকে সাড়া না দেয় তাহলে স্ত্রী গুনাহগার ও অবাধ্য হবে। যেমনটি আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না।” [আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা (৩/১৪৫-১৪৬) থেকে সংকলিত।
= প্রশ্ন : স্ত্রীও যদি স্বামীকে বিছানায় ডাকে তাহলে স্বামীর জন্য সাড়া দেয়া ফরজ কেন নয়? অবাধ্য স্বামীকে পেটানো স্ত্রীর জন্য জায়েজ নয় কেন?
# হাদিস: হাদিস : ৩২৫৬- উম্মু সালামাহ্ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ যে রমণী নিজের স্বামীকে সন্তোষ রেখে মৃত্যুবরণ করে, নিশ্চয় সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (তিরমিযী)
= প্রশ্ন : স্বামীও যদি নিজের স্ত্রীকে সন্তুষ্ট রেখে মৃত্যুবরণ করে তাহলে সে জান্নাত পাবে, এটা বলা হয়নি কেন?
# হাদিস : ৩২৫৮- মু‘আয (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দেয় (অর্থাৎ- অশ্রদ্ধা, অবাধ্যতা ইত্যাদির মাধ্যমে)। তখন উক্ত স্বামীর জান্নাতের রমণীগণ (হূরেরা) বলতে থাকে, তুমি তাকে কষ্ট দিও না,প (যদি কর) তবে আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস করবেন। তিনি তোমার নিকট (কিছু সময়ের দিনের) মেহমান, শীঘ্রই তিনি তোমাকে ছেড়ে আমাদের নিকট চলে আসবে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব)
= প্রশ্ন : স্বামীও যদি স্ত্রীকে কষ্ট দেয় (অশ্রদ্ধা ও অবাধ্যতা দিয়ে) তাহলে স্ত্রীর হুরগণ কেন অভিশাপ দেয়না? স্ত্রীরা কেন হুর পাবেনা?
# হাদিস : ৩২৫৯-[২২] হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ্ আল কুশায়রী (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! স্ত্রীগণ আমাদের ওপর কি অধিকার রাখে? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি যখন খাও, তখন তাকেও খাওয়াও; তুমি পরলে তাকেও পরিধান করাও, (প্রয়োজনে মারতে হলে) মুখমণ্ডলে আঘাত করো না, তাকে গালি দিও না, (প্রয়োজনে তাকে ঘরে বিছানা পৃথক করতে পার), কিন্তু একাকিনী অবস্থায় রাখবে না। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)
= প্রশ্ন : স্ত্রীও কেন স্বামীকে প্রয়োজনে মারতে পারবেনা? মুখমন্ডল ছাড়া অন্য জায়গায় মারবে, সমস্যা কি!
# হাদিস : ৩২৫০- ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে নারীরা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে নবীর জন্য উৎসর্গ করত (প্রকাশ করত), আমি তাদেরকে নিকৃষ্ট মনে করতাম এবং (মনে মনে) বলতাম, কোনো নারী কি এতটা নির্লজ্জ হতে পারে (কোনো পুরুষের নিকট স্বেচ্ছায় নিজেকে উৎসর্গ করবে)? অতঃপর যখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করলেন, অর্থাৎ- ‘‘তুমি তাদের যাকে ইচ্ছে সরিয়ে রাখতে পার, আর যাকে ইচ্ছে তোমার কাছে আশ্রয় দিতে পার। আর তুমি যাকে আলাদা ক’রে রেখেছ তাকে কামনা করলে তোমার কোনো অপরাধ নেই…’’- (সূরা আল আহযাব ৩৩ : ৫১)। তখন আমি তাঁকে বললাম- আমি তো দেখি আপনার প্রভু আপনার কামনা-বাসনা পূরণে সর্বদা তৎপর। (বুখারী ও মুসলিম)
= প্রশ্ন : অায়েশার নিকটও পুরুষরা কেন নিজেকে সমর্পণ করেনি? কেন মোহাম্মদ অায়েশার জন্য তার নিজের মত এক ডজন স্বামীর অনুমতি দিলেন না?
# হাদিস : ৩২৫৪-[১৭] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে, রমযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করে ও স্বামীর একান্ত অনুগত হয়; তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে। (আবূ নু‘আয়ম হিল্ইয়াহ্ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)
# হাদিস- ১: বুখারী-৭-৬২-৩১: মুহাম্মদ-এর নিকট লোকেরা অশুভ স্ত্রীলোক সম্পর্কে আলোচনা করলে তিনি বলেন, কোন কিছুর মধ্যে যদি অপয়া থাকে, তা হলো: বাড়ি-ঘর, স্ত্রীলোক এবং ঘোড়া।
২- বুখারী-৭-৬২-৩৩: মুহাম্মদ বলেন: আমি পুরুষের জন্যে এমন একটা অসুভ জিনিশ রেখে যাচ্ছি তা হল নারি।
৩- হাদিস: সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ৬ :: হাদিস ৩০১ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, একবার ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সা) ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেনঃ হে মহিলা সমাজ! তোমরা সাদকা করতে থাক। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক।
তাঁরা আরজ করলেনঃ কী কারনে, ইয়া রাসূলুল্লাহ্? তিনি বললেনঃ তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাক আর স্বামীর না-শোকরী করে থাক। বুদ্ধি ও দীনের ব্যাপারে ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চাইতে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখিনি।
তাঁরা বললেনঃ আমাদের দীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়, ইয়া রাসূলুল্লাহ্!
তিনি বললেনঃ একজন মহিলার সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয় (কোরান ২: ২৮২)?
তাঁরা উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’।
তখন তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির ঘাটতি। আর হায়য অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকে না?
৪- বুখারী-৭-৬২-১১৩: মুহাম্মদ বলেছেন: নারীরা হচ্ছে পাঁজরের হাড়ের ন্যায়। যদি তোমরা তাকে একেবারে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে যাবে। সুতরাং, যদি তোমরা তাদের থেকে লাভবান হতে চাও, তাহলে ঐ বাঁকা অবস্থাতেই লাভবান হতে হবে।