ভূমিকা :
মুমিনীয় দৃষ্টি তথা ইসলামের দৃষ্টিতে নারী হচ্ছে কলা বা রসগোল্লা, ঢেকে না রাখলে তাতে মাছি বসবে।
তার মানে হচ্ছে, ইসলামি রমণী হলো কলা অার ইসলামি পুরুষ হলো মাছি!
তাহলে মহামানব হযরত মোহাম্মদ হলেন, ‘মাছিয়ে অাকবর’ বা সর্বশ্রেষ্ঠ মাছি!
মোহাম্মদী ফিলোসফিতে নারীর দেহ হচ্ছে কলা, মিষ্টি, লিচু, কাঁঠালের মত।
এখন যেহেতু কলিযুগ, সুতরাং একজন মডার্ন মুমিন এ যুগে নারীকে অাইফোন, গয়না, অাইপ্যাড, মার্সিডিজ গাড়ির চেয়ে দামি মনে করতেই পারে।
অতএব অাইফোন, গাড়ি, ডায়মন্ড গয়না, অাইপ্যাডের যদি কভার থাকতে পারে তাহলে নারীর মত দামি পণ্যের কেন কভার থাকবেনা তা নিয়ে অান্দোলন হতেই পারে!
নারী পৃথিবীর সেরা প্রোডাক্ট, এই প্রোডাক্টকে অাদর-যত্ন করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন নবী মোহাম্মদ। এই প্রোডাক্ট বা রসগোল্লাকে মাছিদের (মুমিনের) কুদৃষ্টি হতে রক্ষা করার গুরুদায়িত্বও অর্পণ করা হয়েছে প্রোডাক্টের মালিককে।
অাসুন পরিচিত হই কিছু হাদিস ও তার উপর উত্থাপিত প্রশ্নের সাথে :-
# হাদিস : “দুনিয়া হচ্ছে ভোগের জায়গা, অার দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম ভোগের বস্তু (মাতাউন) হচ্ছে নারী।”
(মুসলিম-১৪৬৭, উবনু মাজাহ-৩৯৩৯; ৩৯৪০)
মাতাউন এর শাব্দিক অর্থ কি – অাসুন জেনে নিই “অাল মুজামুল ওয়াসীত” নামক বিখ্যাত ডিকশনারি থেকে :
جمع : أَمْتِعَةٌ . [ م ت ع ].
1 . :- جَمَعَ مَتَاعَهُ :- : كُلُّ مَا يُنْتَفَعُ بِهِ مِنْ أَثَاثٍ وَأَدَوَاتٍ وَسِلَعٍ .
2 . :- مَتَاعُ الدُّنْيَا :- : حُطَامُهَا قَلِيلُهُ أَوْ كَثِيرُهُ . آل عمران آية 185 وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلاَّ مَتَاعُ الغُرُورِ ( قرآن ).
3 . :- سَقَطُ الْمَتَاعِ :- : رَدِيئُه
: মাতাউন এর বহুবচন ‘অামতিঅাত।’ অর্থ হচ্ছে : প্রত্যেক উপকরণ, বস্তু ও অাসবাব যা ভোগ করা হয়।
= প্রশ্ন : পুরুষ কেন ভোগ্যপণ্য নয়?
বিবাহের মাধ্যমে স্বামী তার স্ত্রী নামক পণ্যের রক্ষণাবেক্ষণ ও খাওয়ানো-পরানোর দায়িত্ব পায়।
হেদায়া, শামী, অালমগীরী সহ সকল ফতোয়ার কিতাবের ফতোয়া হচ্ছে – স্বামী দেনমোহরের দ্বারা স্ত্রীর যৌনাঙ্গের মালিক হয়ে যায়, অর্থাৎ অর্থের বিনিময়ে যৌনাঙ্গ খরিদ করা হয়। পারলে পড়ে দেখুন, ঠিক বললাম কিনা।
বুখারী-৭-৬২-৮১ তেও বলা হয়েছে, স্বামীজি মোহর দ্বারা স্ত্রীর অঙ্গভোগের অবাধ স্বাধীনতা পায়!
# হাদিস- ১: স্ত্রীকে সবসময় স্বামীর শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
সহিহ বোখারি ৩০১০ ও ৪৮১৪-১৫ নং হাদিস।
২- বুখারী-৭-৬২-১২১: মুহাম্মদ বলেছেন: যদি কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে তার সাথে একই বিছানায় শোয়ার জন্য ডাকে, আর তার স্ত্রী অস্বীকার করে, তবে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতারা ঐ মহিলার ওপর লানত/অভিশাপ বর্ষণ করতে থাকে।
৩- হাদিস : ৩২৫৭-[২০] ত্বলক্ব ইবনু ‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন: কোনো স্বামী নিজ প্রয়োজনে স্বীয় স্ত্রীকে ডাকলে, সে যেন তৎক্ষণাৎ তার ডাকে সাড়া দেয়, যদিও সে চুলার পাশে (গৃহকর্মীর কাজে) ব্যস্ত থাকে। (তিরমিযী)
৪- যখনি স্বামী স্ত্রীকে বিছানায় ডাকবে তখনি ডাকে সাড়া দেয়া স্ত্রীর উপর ফরজ…। যদি ডাকে সাড়া না দেয় তাহলে স্ত্রী গুনাহগার ও অবাধ্য হবে। যেমনটি আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
“আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না।” [আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা (৩/১৪৫-১৪৬) থেকে সংকলিত।
= প্রশ্ন : স্ত্রীও যদি স্বামীকে বিছানায় ডাকে তাহলে স্বামীর জন্য সাড়া দেয়া ফরজ কেন নয়?
অবাধ্য স্বামীকে পেটানো স্ত্রীর জন্য জায়েজ নয় কেন?
# হাদিস- : ৩২৫৬- উম্মু সালামাহ্ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ যে রমণী নিজের স্বামীকে সন্তোষ রেখে মৃত্যুবরণ করে, নিশ্চয় সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (তিরমিযী)
= প্রশ্ন : স্বামীও যদি নিজের স্ত্রীকে সন্তুষ্ট রেখে মৃত্যুবরণ করে তাহলে সে জান্নাত পাবে, এটা বলা হয়নি কেন?
# হাদিস : ৩২৫৮- মু‘আয (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দেয় (অর্থাৎ- অশ্রদ্ধা, অবাধ্যতা ইত্যাদির মাধ্যমে)। তখন উক্ত স্বামীর জান্নাতের রমণীগণ (হূরেরা) বলতে থাকে, তুমি তাকে কষ্ট দিও না, (যদি কর) তবে আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস করবেন। তিনি তোমার নিকট (কিছু সময়ের দিনের) মেহমান, শীঘ্রই তিনি তোমাকে ছেড়ে আমাদের নিকট চলে আসবে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব)
= প্রশ্ন : স্বামীও যদি স্ত্রীকে কষ্ট দেয় (অশ্রদ্ধা ও অবাধ্যতা দিয়ে) তাহলে স্ত্রীর হুরগণ কেন অভিশাপ দেয়না?
স্ত্রীরা কেন হুর পাবেনা?
# হাদিস : ৩২৫৯-[২২] হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ্ আল কুশায়রী (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! স্ত্রীগণ আমাদের ওপর কি অধিকার রাখে? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি যখন খাও, তখন তাকেও খাওয়াও; তুমি পরলে তাকেও পরিধান করাও, (প্রয়োজনে মারতে হলে) মুখমণ্ডলে আঘাত করো না, তাকে গালি দিও না, (প্রয়োজনে তাকে ঘরে বিছানা পৃথক করতে পার), কিন্তু একাকিনী অবস্থায় রাখবে না। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)
= প্রশ্ন : স্ত্রীও কেন স্বামীকে প্রয়োজনে মারতে পারবেনা? মুখমন্ডল ছাড়া অন্য জায়গায় মারবে, সমস্যা কি!
# হাদিস : ৩২৫০- ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে নারীরা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে নবীর জন্য উৎসর্গ করত (প্রকাশ করত), আমি তাদেরকে নিকৃষ্ট মনে করতাম এবং (মনে মনে) বলতাম, কোনো নারী কি এতটা নির্লজ্জ হতে পারে (কোনো পুরুষের নিকট স্বেচ্ছায় নিজেকে উৎসর্গ করবে)? অতঃপর যখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করলেন, অর্থাৎ- ‘‘তুমি তাদের যাকে ইচ্ছে সরিয়ে রাখতে পার, আর যাকে ইচ্ছে তোমার কাছে আশ্রয় দিতে পার। আর তুমি যাকে আলাদা ক’রে রেখেছ তাকে কামনা করলে তোমার কোনো অপরাধ নেই…’’- (সূরা আল আহযাব ৩৩ : ৫১)। তখন আমি তাঁকে বললাম- আমি তো দেখি আপনার প্রভু আপনার কামনা-বাসনা পূরণে সর্বদা তৎপর। (বুখারী ও মুসলিম)
= প্রশ্ন : অায়েশার নিকটও পুরুষরা কেন নিজেকে সমর্পণ করেনি?
কেন মোহাম্মদ অায়েশার জন্য তার নিজের মত একডজন স্বামীর অনুমতি দিলেন না?
# হাদিস : ৩২৫৪-[১৭] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে, রমযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করে ও স্বামীর একান্ত অনুগত হয়; তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে। (আবূ নু‘আয়ম হিল্ইয়াহ্ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)
= প্রশ্ন : স্বামীও যদি স্ত্রীর অনুগত হয় তাহলে সে স্বামীর জন্য জান্নাতের ঘোষণা কেন দেয়া হলোনা? একজন পুরুষ নবী হয়ে মুহাম্মদ কেন পুরুষকে ঠকালেন?
# হাদিস : ৩২৫৫-[১৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যদি কোনো মানবকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তবে স্ত্রীকে তার স্বামীর জন্য সিজদা করার নির্দেশ দিতাম। (তিরমিযী)[1]
= প্রশ্ন : ‘আমি যদি কোনো মানবকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তবে স্বামীকে তার স্ত্রীর জন্য সিজদা করার নির্দেশ দিতাম’ – এমনটি তিনি কেন বললেন না?
# হাদিস- ১: বুখারী-২-২০-১৯২: মুহাম্মদ বলেছেন: কোন মহিলাই যেনো মাহরাম পুরুষকে সঙ্গে না নিয়ে তিন দিনের বেশী সফর না করে।
২- মুসলিম-৩১-৫৯৬৬: মুহাম্মদ বলেছেন: পুরুষদের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা লাভ করেছেন, কিন্তু মহিলাদের মধ্যে মরিয়ম বিনতে ইমরান ও ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়া ছাড়া আর কেউ পূর্ণতা লাভ করেননি। আর অন্যান্য মাহিলাদের উপর আয়েশার ফযীলত অন্যান্য খাদ্যের উপর সারীদের ফযীলতের মত।
৩- বুখারী-২-২০-১৯৪: মুহাম্মদ বলেছেন: যে মহিলা আল্লাহ্ এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে কোন মাহ্রাম পুরুষকে সাথে না নিয়ে এক দিন ও এক রাত্রির পথ সফর করা জায়িয নয়।
= প্রশ্ন : পুরুষকে কেন অাদেশ করা হলোনা, মাহরাম নারী ছাড়া যেন সফর না করে!
অায়েশাকে সারীদের (সুস্বাদু অারবীয় খাবার) সাথে তুলনা করলে যদি দোষ না হয় তাহলে তেঁতুল হুজুর নারীকে তেঁতুল ভাবলে কেন দোষ হবে?
# হাদিস : বুখারী-৬-৬০-৫১: ঈহুদীরা বলতো যে: যদি কেউ স্ত্রীর পেছন দিক থেকে সহবাস করে তাহলে সন্তান টেরা চোখের হয়। তখন (তাদের এ ধারণা রদ করে) নাজিল হলো : “তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র। সুতরাং তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যে প্রকারে ইচ্ছে গমন কর এবং নিজেদের জন্য ভবিষ্যতের বন্দোবস্ত কর এবং আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রেখ যে, তোমাদেরকে তাঁর কাছে হাজির হতে হবে। আর বিশ্বাসীদেরকে সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।” (২:২২৩)
= প্রশ্ন : স্ত্রীকে বলা হয়নি কেন – “সুতরাং তোমরা সোয়ামিদের শস্যক্ষেত্রে যে প্রকারে ইচ্ছে গমন কর”?
এখনকার রমণীরা তো পুরুষকেই……!
# হাদিস- ১: বুখারী-৭-৬২-৩১: মুহাম্মদ-এর নিকট লোকেরা অশুভ স্ত্রীলোক সম্পর্কে আলোচনা করলে তিনি বলেন, কোন কিছুর মধ্যে যদি অপয়া থাকে, তা হলো: বাড়ি-ঘর, স্ত্রীলোক এবং ঘোড়া।
২- বুখারী-৭-৬২-৩৩: মুহাম্মদ বলেন: পুরুষের জন্যে মেয়েলোকের অপেক্ষা অন্য কোন বড় ফিতনা আমি রেখে গেলাম না।
৩- হাদিস: সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ৬ :: হাদিস ৩০১ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, একবার ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সা) ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেনঃ হে মহিলা সমাজ! তোমরা সাদকা করতে থাক। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তাঁরা আরজ করলেনঃ কী কারনে, ইয়া রাসূলুল্লাহ্? তিনি বললেনঃ তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাক আর স্বামীর না-শোকরী করে থাক। বুদ্ধি ও দীনের ব্যাপারে ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চাইতে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখিনি। তাঁরা বললেনঃ আমাদের দীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! একজন মহিলার সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়( কোরান ২: ২৮২)? তাঁরা উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’। তখন তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির ঘাটতি। আর হায়য অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকে না? তাঁরা বললেন, ‘হাঁ’। তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে তাদের দীনের ঘাটতি।
৪- বুখারী-৭-৬২-১১৩: মুহাম্মদ বলেছেন: নারীরা হচ্ছে পাঁজরের হাড়ের ন্যায়। যদি তোমরা তাকে একেবারে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে যাবে। সুতরাং, যদি তোমরা তাদের থেকে লাভবান হতে চাও, তাহলে ঐ বাঁকা অবস্থাতেই লাভবান হতে হবে।
= প্রশ্ন : পুরুষ কেন অপয়া নয়? ধর্ষক গুলো তো সব পুরুষ খাটাশ, তাহলে পুরুষ কেন অপয়া এবং ফিতনা নয়? পুরুষেরা বেশি ঘাড়ত্যাড়া হয়, পুরুষ কেন পাঁজরের হাড় নয়? নারীর জন্যও পুরুষ কেন ফিতনা (অাপদ) নয়? নারী কি বোরকার ফোকর হতে পুরুষের দিকে কুদৃষ্টি বর্ষণ করেনা?
পুরুষের দ্বীনে ত্রুটি নেই কেন?
পুরুষের সাক্ষ্য মহিলার সাক্ষ্যের অর্ধেক হলে সমস্যা কি ছিল ? বরং নারীদের মধ্যে সততার গুণ বেশি।
# হাদিস : বুখারী-৭-৬২-১৩৪: অাল্লাহর বাণী – “কোন নারী যদি তার স্বামীর পক্ষ থেকে অসদাচরণ অথবা উপেক্ষার আশংকা করে তাহলে তারা উভয়ে আপোষ মীমাংসা করে নিলে তাতে তাদের উভয়ের কোন অপরাধ নেই। বস্তুতঃ আপোষ মীমাংসাই উত্তম। এবং লোভের কারণে স্বভাবতঃই মানুষের হৃদয় কৃপণ; এবং যদি তোমরা সৎ ব্যবহার কর ও সংযমী হও তাহলে তোমরা যা করছো তদ্বিষয়ে আল্লাহ অভিজ্ঞ (৪:১২৮)” এই আয়াত প্রসঙ্গে আয়েশা বলেন: এ আয়াত হচ্ছে ঐ মহিলার সম্পর্কে, যার স্বামী তার স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখতে চায় না; বরং তাকে তালাক দিয়ে অন্য কোন মহিলাকে শাদী করতে চায়। তখন তার স্ত্রী তাকে বলে: আমাকে রাখ এবং তালাক দিও না বরং অন্য মহিলাকে বিয়ে করে নাও এবং তুমি ইচ্ছা করলে আমাকে খোরপোষ না-ও দিতে পার আর আমাকে শয্যাসঙ্গিনী না-ও করতে পার। আল্লাহ্ তাআলার উক্ত আয়াত দ্বারা বোঝা যায় যে, স্বামী-স্ত্রী যদি পারস্পরিক সন্ধি করে নেয়, তবে তাতে কোন দোষ নেই এবং সন্ধি করা উত্তম।
= প্রশ্ন : ধর্মপ্রাণ নারীরা কি অায়াতে বর্ণিত সন্ধি করতে রাজি অাছেন?
স্বামীজিকে ২য় শাদি করতে দিতে রাজি অাছেন বোরকাওয়ালী দাসীরা ?
# হাদিস : বুখারী-৭-৭২-৭১৫: রিফাআ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। পরে আবদুর রহমান কুরাযী তাকে বিবাহ করে। ‘আয়েশা বলেন, তার গায়ে একটি সবুজ রঙ্গের ওড়না ছিল। সে আয়েশার নিকট অভিযোগ করলো এবং (স্বামীর প্রহারের দরুন) নিজের গায়ের চামড়ার সবুজ বর্ণ দেখালো। মুহাম্মদ যখন এলেন তখন আয়েশা বললেন: কোন মুমিন মহিলাকে এমনভাবে প্রহার করতে আমি কখনও দেখিনি। মহিলাটির চামড়া তার কাপড়ের চেয়ে অধিক সবুজ হয়ে গেছে। বর্ণনাকারী বলেন: ‘আবদুর রহমান শুনতে পেল যে, তার স্ত্রী মুহাম্মদ-এর কাছে এসেছে। সুতরাং সেও তার অন্য স্ত্রীর দুটি ছেলে সাথে করে এলো। (নির্যাতিতা) স্ত্রীলোকটি বলল: আল্লাহর কসম! তার উপর আমার এ ছাড়া আর কোন অভিযোগ নেই যে, তার কাছে যা আছে, তা আমাকে এ জিনিসের চেয়ে বেশী তৃপ্তি দেয় না। এ বলে তার কাপড়ের আচল ধরে দেখাল। ‘আবদুর রহমান বলল: ইয়া রাসুলাল্লাহ্! সে মিথ্যা বলছে, আমি তাকে ধোলাই করি চামড়া ধোলাই করার ন্যায়। অর্থাৎ (পূর্ণ শক্তির সাথে দীর্ঘস্থায়ী সঙ্গম করি)। কিন্তু সে অবাধ্য স্ত্রী, রিফাআর (পূর্বের স্বামী) কাছে ফিরে যেতে চায়। মুহাম্মদ বললেন: ব্যাপার যদি তাই হয় তাহলে রিফাআ তোমার জন্য হালাল হবে না, যতক্ষণ না আব্দুর রহমান তোমার সুধা আস্বাদন করবে। বর্ণনাকারী বলেন: মুহাম্মদ আবদুর রহমানের সাথে তার পুত্রদ্বয়কে দেখে বললেন, এরা কি তোমার পুত্র? সে বলল: হ্যাঁ। তিনি বললেন: এই আসল ব্যাপার, যে জন্যে স্ত্রীলোকটি এরূপ করছে। আল্লাহর কসম! কাকের সাথে কাকের যেমন সাদৃশ্য থাকে, তার চেয়েও অধিক মিল আছে ওদের সাথে এর (অর্থাৎ আব্দুর রহমানের সাথে তাঁর পুত্রদের)।
= প্রশ্ন : স্বামীকে বৌ পেটাতে নিষেধ করলেন না কেন নারীপ্রেমিক নবী?
# হাদিস : বুখারী-৫-৫৯-৪৫৯: ইবনে মুহায়রীয থেকে বর্ণিত: একদা আমি মসজিদে প্রবেশ করে আবু সাঈদ খুদরী-কে দেখতে পেয়ে তার কাছে গিয়ে বসলাম এবং তাকে আযল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আবু সাঈদ খুদরী বললেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্-এর সংগে বানু মুসতালিকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ যুদ্ধে আরবের বহু যুদ্ধবন্দিনী আমাদের হস্তগত হয়। মহিলাদের প্রতি আমাদের মনে খায়েশ হল এবং বিবাহ-শাদী ব্যতীত এবং স্ত্রীহীন থাকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ালো। তাই আমরা আযল করা পছন্দ করলাম এবং তা করার মনস্থ করলাম। তখন আমরা বলাবলি করতে লাগলাম, রাসুলুল্লাহ্ আমাদের মাঝে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস না করেই আমরা আযল করতে যাচ্ছি। আমরা তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বললেন: এরুপ না করলে তোমাদের ক্ষতি কি? জেনে রাখ, কিয়ামত পর্যন্ত যতগুলো প্রাণের আগমন ঘটবার আছে, ততগুলোর আগমন ঘটবেই।
= প্রশ্ন : যুদ্ধবন্দিনী অমুসলিম নারীদেরকে ধর্ষণের অনুমতিদাতা নবীজি কি একজন উদারপন্থী নন? ধর্ষণের ক্ষেত্রে তিনি কোন ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের পার্থক্য রাখেননি!
# হাদিস- ১: বুখারী-৩-৩৮-৫০৮: মুহাম্মদ বলেন, হে উনাইস ইবনে যিহাক আসলামী; সে মহিলার কাছে যাও; যদি সে (অপরাধ) স্বীকার করে তবে তাকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা কর।
২- বুখারী-৮-৮২-৮০৩: হযরত আলী জুমআর দিন জনৈকা মহিলাকে যখন রজম (যৌনতার দায়ে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে পাথর ছুড়ে হত্যা) করেন তখন বলেন, আমি তাকে রাসুলুল্লাহ এর সুন্নাত অনুযায়ী রজম করলাম।
= প্রশ্ন : বিবি এবং দাসীসহ উনিশজন নারীর সাথে সহবাসকারী নবী কেন নিজেকে নিজে রজম করলেন না?
বহুগামিতার অাসামি কেন অন্যকে বিবাহ-বহির্ভূত যৌনতায় নির্মমভাবে হত্যা করলেন?
# হাদিস : মুসলিম-০২-৫৬৬: একবার এক ব্যক্তি আয়েশা-এর মেহমান হল। অতঃপর সকালে সে তার কাপড় ধুতে লাগল। তখন আয়েশা বললেন, তুমি যদি (কাপড়ে) তা (বীর্য) দেখতে পাও তবে তোমার জন্য শুধু সে জায়গাটা ধুয়ে ফেলাই যথেষ্ট হবে। আর যদি তা না দেখ তবে তার আশে পাশে পানি ছিটিয়ে দিবে। আমিতো রাসুলুল্লাহ-এর কাপড় থেকে তা নখ দিয়ে ভাল করে আচড়ে ফেলতাম। অতঃপর তিনি তা পরে সালাত আদায় করতেন।
= প্রশ্ন : লোকটিও কি তাহলে বর্তমান দরবেশদের ন্যায় তাহাজ্জুদ পড়তেন?
# হাদিস : মুসলিম-৩৭-৬৬৭৬: মুহাম্মদ-এর উম্মে ওয়ালাদের (প্রভূর সন্তান জন্মানো দাসী, এক্ষেত্রে ‘মারিয়া কিবতিয়া’) সাথে এক ব্যক্তির প্রতি ব্যভিচারের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তখন মুহাম্মদ আলী-কে বললেন: যাও; তার গর্দান উড়িয়ে দাও। আলী তার নিকট গিয়ে দেখলেন, সে কুপের মধ্যে শরীর শীতল করছে। আলী তাকে বললেন: বেরিয়ে আসো। সে আলী-এর দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। তিনি তাকে বের করলেন এবং দেখলেন, তার পূরুষাঙ্গ সমূলে কর্তিত, তার লিঙ্গ নেই। তখন আলী তাকে হত্যা করা থেকে বিরত থাকলেন। তারপর তিনি মুহাম্মদ-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! সে তো লিঙ্গ কর্তিত-তার তো লিঙ্গ নেই।
= প্রশ্ন : নবীর নিকট গোপন তথ্য পাচারকারী অাল্লাহ কেন ‘লোকটির লিঙ্গ কর্তিত’ এ তথ্য পাঠালেন না?
# হাদিস : মুসলিম-০৮-৩৩৬৫: মুহাম্মদ বলেছেন: স্বামী ইচ্ছে করলে উপুড় করে, ইচ্ছা করলে উপুড় না করে সহবাস করতে পারে, তবে তা একই দ্বারে (যোনী) হতে হবে।
= প্রশ্ন : ১৪০০ বছর অাগেও যিনি বিভিন্ন পজিশন সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেন তিনি নবী হবেন না তো কে হবে?
# হাদিস : মুসলিম-০৮-৩৪৩২: মুহাম্মদ হুনায়নের যুদ্ধের সময় একটি দল আওতাসের দিকে পাঠান। তারা শক্রদলের মুখোমুখি হয়েও তাদের সাথে যুদ্ধ করে জয়লাভ করে এবং তাদের অনেক কয়েদী তাদের হস্তগত হয়। এদের মধ্য থেকে দাসীদের সাথে সহবাস করা রাসুলুল্লাহ-এর কয়েকজন সাহাবী যেন না জায়িয মনে করলেন, তাদের মুশরিক স্বামী বর্তমান থাকার কারণে। আল্লাহ তখন এ আয়াত অবতীর্ণ করেন: ‘নারীদের মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ নারীগণও তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, কিন্তু তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদের বাদে (৪:২৪)’, অর্থাৎ তারা তোমাদের জন্য হালাল, যখন তারা তাদের ইদ্দত (মাসিকচক্র) পূর্ন করে নিবে।
= প্রশ্ন : কাফের যুদ্ধবন্দিনী নারীদেরকে তাদের স্বামীর বর্তমানে ধর্ষণ করতে সাহাবিগণ সংকোচ বোধ করলেও অাল্লাহপাক খারাপ মনে করলেন না কেন?
# হাদিস : বুখারী-১-৬-২৯৮: আয়িশা থেকে বর্ণিত: আমি ও রাসুলুল্লাহ্ জানাবাত অবস্থায় একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করতাম এবং তিনি আমাকে নির্দেশ দিলে আমি ইযার পরে নিতাম, আর আমার হায়য (মাসিক রক্তস্রাব) অবস্থায় তিনি আমার সাথে মিশামিশি (দুই ঊরুতে ঘষাঘষি করে বীর্যপাত) করে শুতেন। তাছাড়া তিনি ইতিকাফ অবস্থায় মাথা বের করে দিতেন, আর আমি হায়য অবস্থায় মাথা ধুয়ে দিতাম।
= প্রশ্ন : নবীজি এত ঘষাঘষি করতেন কেন?
# হাদিস- ১: সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ৯ :: হাদিস ৪৯০ ইসমা’ঈল ইবনে খলীল (র)…… আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, একবার তাঁর সামনে সালাত নষ্টকারী জিনিসের আলোচনা করা হল। লোকেরা বললোঃ কুকুর, গাধা ও মহিলা সালাত নষ্ট করে দেয়। আয়িশা বললেন: তোমরা আমাদের কুকুরের সমান করে দিয়েছ! আমি নবী (সা) কে দেখেছি, সালাত আদায় করেছেন আর আমি তাঁর ও কিবলার মাঝে চৌকির উপর কাত হয়ে শুয়ে থাকতাম। কোন কোন সময় আমার বের হওয়ার দরকার হতো এবং তাঁর সামনের দিকে যাওয়া অপছন্দ করতাম। এজন্যে আমি চুপি চুপি সরে পড়তাম। আ’মাশ (র) আয়িশা (রা) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
২- সহিহ মুসলিম :: খন্ড ৪ :: হাদিস ১০৩২ আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত – তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন নামাযে দাঁড়ায়, সে যেন হাওদার খুটির ন্যায় একটি কাঠি তার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। সে যদি তার সামনে হাওদার পিছনের খুটির ন্যায় একটি কাঠি দাঁড় করিয়ে না দেয়- এমতাবস্থায় তার সামনে দিয়ে গাধা, স্ত্রীলোক এবং কালো কুকুর যাতায়াত করলে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে। (আবদুল্লাহ ইবনে সামিত (রা) বলেন): আমি বললাম, হে আবু যার (রা)! কালো কুকুরের কি অপরাধ, অথচ লাল ও হলুদ বর্ণের কুকুরও তো রয়েছে। তিনি বলেলেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র! তুমি আমাকে যে প্রশ্ন করেছ, আমিও রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অনুরূপ প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি উত্তরে বলেছেন : কালো কুকুর হল একটি শয়তান। বোঝা গেল , নারীরা হলো শুধু গাধাই নয়, তারা কালো কুকুরের সমান। আর কালো কুকুর যেহেতু শয়তান তাই নারীরা হলো আসলে শয়তান। এ জন্যই নারীরা শুধুমাত্র ভোগ্য পণ্য ছাড়া আর কিছুই না।
= প্রশ্ন : বেশিরভাগ অন্যায় পুরুষরা করে, তারপরও কেন নারীদের দোজখে অংশগ্রহণের হার অধিক?
নারীকে কেন গাধা, কালো কুকুর এবং শয়তানের সাথে তুলনা করা হলো?
দেড়ডজন নারী নিয়ে লটরপটর করা নবী নারীর প্রতি এত অকৃতজ্ঞ কেন?
অায়েশা কি নবীর নারীবিদ্বেষ নিয়ে মনেমনে বিক্ষুব্ধ ছিলেন?
# হাদিস : সহিহ মুসলিম :: খন্ড ৮ :: হাদিস ৩২৪০ জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত । রাসুলুল্লাহ (সা) এক মহিলাকে দেখলেন । তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব (রাঃ)-এর নিকট আসলেন । তিনি তখন তার একটি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) তার সাথে যৌন মিলন করলেন । তারপর বের হয়ে সাহাবীদের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়তানের বেশে এবং ফিরে যায় শয়তানের বেশে । অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে । কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়।
= প্রশ্ন: রাস্তায় সুন্দরী নারী দেখা মাত্র আমাদের নবীর যে কি অবস্থা হয়েছিল সেটা সহজেই বোধগম্য, আর সাথে সাথেই তিনি অতি দ্রুত তার এক স্ত্রী জয়নবের ঘরে গিয়ে মিলিত হয়ে ঠান্ডা হলেন। খেয়াল করতে হবে, স্ত্রীটি তখন কাজে ব্যস্ত ছিল। আর তাকে ভোগ করার জন্য তার কোন ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন মূল্য এখানে নেই। অর্থাৎ চাহিবা মাত্র স্ত্রী স্বামীর যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য প্রস্তুত থাকবে। তাদের কোন ইচ্ছা নেই , অনিচ্ছা নেই , স্বাধীনতা নেই , অধিকার নেই। যেভাবে ইচ্ছা খুশী নারীদেরকে ভোগ করা যাবে, এখানে নারীদের ন্যুনতম কোন ইচ্ছা অনিচ্ছার দাম নেই। নারীদের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন দাম নেই কারন তারা আসলে ভোগ্য পণ্য ছাড়া আর কিছু না। যৌন আনন্দ ফূর্তির যাতে কোন ঘাটতি পুরুষের না হয় , ঠিক সেই সেজন্য একজন পুরুষ চারটা নারীকে একসাথে নিকাহ করতে পারবে!
# হাদিস- ১: সুনান আবু দাউদ :: বিবাহ অধ্যায় ১২, হাদিস ২১৪৭ যুহায়র ইবন হারব -উমার ইবনুল খাত্তাব নবী মোহাম্মদ হতে বর্ণনা করেছেন যে, “কোন ব্যক্তিকে (দুনিয়াতে) তার স্ত্রীকে মারধর করার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।”
২- সুনান আবু দাউদ :: বিবাহ অধ্যায় ১২, হাদিস ২১৪৬ ইবন আবূ খালফ ও আহমাদ ইবন আমর ইবন সারহ্ -ইয়াস ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আবূ যুবরা হতে বর্নিত। তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ্ ইরশাদ করেন, তোমরা আল্লাহর দাসীদেরকে প্রহার করবে না। তখন ওমর রাসূলুল্লাহ্ এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বলেন, স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের সাথে অবাধ্যতা করছে। তখন তিনি তাদেরকে মারধর করতে অনুমতি প্রদান করেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ – এর পরিবারের নিকট অনেক মহিলা এসে তাদের স্বামীদের সম্পর্কে অভিযোগ পেশ করে। তখন নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ আলে মুহাম্মদের (মোহাম্মদ পরিবার) নিকট অসংখ্য মহিলা এসে তাদের স্বামীদের ব্যাপারে অভিযোগ পেশ করছে। যারা তাদের স্ত্রীদের মেরেছে তারা তোমাদের মধ্যে উত্তম নয়।
(কিন্তু নিষেধ করা হয়নি!)
= প্রশ্ন: ইসলামে নারীর মর্যাদা বিষয়ে বহুল কথিত হাদিস – মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত। উল্লেখ করে অনেকেই ইসলামে নারীকে মারাত্মক মর্যাদা দেয়া হয়েছে বলে দাবী করে! কিন্তু কথা হলো, মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্কের ভিত্তিতে নারীর মর্যাদা নির্ধারিত হবে নাকি একজন স্বামীর সাথে তার স্ত্রীর সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে?
মা-ছেলে কি নারীর সম্মান মাপার মাপকাঠি হতে পারে?
সন্তান কি তার মাকে নারী ভাবে, নাকি মা ভাবে? (মুমিনরা ভাবতেও পারে!)
যে সন্তানের বেহেস্ত তার মায়ের পায়ের নিচে সেই সন্তানের সামনেই তার পিতা তার মাকে পেটাতে থাকলে কি মাতৃত্বের সম্মান অটুট থাকে?
মোহাম্মদী চোখে নারীরা হলো কালো কুকুর বা শয়তান। সেই শয়তানের পায়ের নিচে যদি বেহেস্ত থাকে, তাহলে ইসলাম ঠিক কি প্রক্রিয়ায় নারীকে মর্যাদা দিল তা আমার বোধগম্য নয়।
উপসংহার : নারী পূর্ণাঙ্গ মানুষ, তাকে পুরুষ রাখবে কেন? তার পোশাক, চলাফেরা, সীমারেখা কেন পুরুষ কর্তৃক নির্ধারণ করা হবে? পুরুষের পোশাক কি নারী নির্ধারণ করে দেয়? নারীর পোশাক কেন পুরুষ নির্ধারণ করে দেবে?
নারী কি গরু-ছাগল যে নিজের পোশাক সম্পর্কে, শরীর সম্পর্কে, জীবন সম্পর্কে জ্ঞান নেই?
মা ছিলনা, বোন ছিলনা, খালা ছিলনা, ফুপু ছিলনা এমন একজন বর্বর মরুচারীর বিকৃত অাইডিওলজী কেন অামরা গ্রহণ করবো?।।।