রাসুল (সাঃ) বলেছেন- “পুরুষেরা গন্ধ পাবে এমন উদ্দেশ্যে আতর বা সুগন্ধি মেখে কোন মহিলা যদি পুরুষদের মাঝে চলাফেরা করে তাহলে সে একজন যিনাকারী মহিলা হিসাবে গণ্য হবে” (আহমাদ ৪/৪১৮, ছহীহুল জামে হাদীছ ১০৫)।
মেয়েদের ব্যবহার করতে হবে গন্ধবিহীন পারফিউম (Abu Dawud 32:4037)
প্রশ্ন 1 আচ্ছা যদি পুরুষ সুগন্ধী ব্যাবহার করে মহিলাদের মাঝে চলাফেরা করে তাহলে সে একজন যিনাকারী পুরুষ হিসাবে গণ্য হয় না কেন
.
পর্দার সাথে হলেও মহিলা পারফিউম বা সেন্ট জাতীয় কোন সুগন্ধি ব্যবহার করে বাইরে যেতে পারে না। কারণ তাতে ফিতনা আছে। মহানবী (সঃ) বলেছেন, “প্রত্যেক চক্ষুই ব্যাভিচারী। আর মহিলা যদি (কোন প্রকার) সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন (পুরুষের) পাশ দিয়ে অতিক্রম করে, তবে সে ব্যভিচারিণী (বেশ্যার মেয়ে)।” ৫০৬ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে হিব্বান, ইবনে খুযাইমাহ, হাকেম, সহীহুল জামে, ৪৫৪০ নং)
প্রশ্ন 2 পুরুষ সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করে, তবে সে ব্যভিচারি (বেশ্যার পুলা নয় কেন )
এমন কি মহিলা মসজিদে নামায পড়ার উদ্দেশ্যে যেতেও সে সেন্ট ব্যবহার করতে পারে না। মহানবী (সঃ) বলেন, “আল্লাহ্র বান্দীদেরকে মসজিদে আসতে বারণ করো না, তবে তারা যেন খোশবূ ব্যবহার না করে সাধাসিধাভাবে আসে।” ৫০৭ (আহমাদ, আবূ দাঊদ, সঃ জামে ৭৪৫৭ নং)
প্রশ্ন 3 এটা পুরুষের বেলায় নয় কেন।
“যে মহিলা সেন্ট ব্যবহার করে মসজিদে যাবে, সে মহিলার গোসল না করা পর্যন্ত কোন নামায কবুল হবে না।” ৫০৮ (ইবনে মাজাহ ৪০০২, সঃ জামে ২৭০৩ নং
প্রশ্ন 4 যে পুরুষ সেন্ট ব্যবহার করে মসজিদে যাবে, তার নামায কবুল হবে কেন।
অনেক মহিলা তো এ ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন, আর অনেকেই তো এ বিষয়টিকে খুব হালকাভাবে গ্রহণ করে। যে সমস্ত নারীরা সেজেগুজে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি মেখে ড্রাইভারের সাথে গাড়ীতে চলাফেরা করছে, দোকানে যাচ্ছে, স্কুল-কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছে, তারা শরী’আতের নিষেধাজ্ঞার দিকে সামান্যতমও খেয়াল করে না। মেয়েদের ঘরের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে ইসলামী শরী‘আত এমন কঠোর বিধান আরোপ করেছে যে, বাড়ীর বাইরে যাওয়ার সময় মেয়েরা সুগন্ধি মেখে থাকলে ঐ সুগন্ধিকে নাপাকী মনে করে ফরয গোসলের ন্যায় ঐ মহিলাকে গোসল করতে হবে
1]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ৫৮০৩, মুসলিম, ১১৭৭, মিশকাত হা/ ৪৩৭ [2]. আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে হিববান, ইবনে খুযাইমাহ, হাকেম, সহীহুল জা’মে হা/৪৫৪০ [3]. আহমাদ, আবূ দাঊদ, সহীহুল জা’মে হা/৭৪৫৭ [4]. আবূ দাঊদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, বাইহাকী, সিলসিলাহ সহীহাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/১০৩১ [5]. ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৮১৩ [6]. কিতাবুদ দা’ওয়াহ ২/১৪৩ [7]. লিক্বাউল বা-বিল মাফতুহ, ইবনে উসাইমীন ২৪/১৩ [8]. বুখারী [9]. সূরা আ’রাফ-৭:২৬।।।