ধর্মের প্রথা ভাঙতে হলে বিয়ের প্রথাও ভাঙতে হবে।প্রেমিক উপন্যাসে জান্নাতুন নাঈম প্রীতি বলেছিলেন, “প্রেমিকতো এমনই।তোমার ধসে পরা জীবন দেখবে, ত্রাণকর্তার মতো বুলি আওড়াবে কিন্তু ধস থামাতে হাত বাড়াবে না।”
নেগেটিভ অনুভূতিগুলো আমার মধ্যে বেশ প্রভাব ফেলে।বিয়ের প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাকে অর্ক বলেছিলো, তুমি হচ্ছো পোলাউ, বিরিয়ানি যেটা প্রতিদিন খাওয়া যায় না। এখানে নেগেটিভ মার্কেটিং হলেও লেখক কিন্তু সত্যিই বলেছিলেন। যদিও অর্ক চিট করছিলো।
বিয়ের প্রসঙ্গে আরেকটা কথা বলি। আমার এক কাজিন আছে ইবনে সিনা মেডিকেলের কলেজে পড়াশোনা করতো। সে তার ক্লাসমেটকে বিয়ে করে নিলো ৬০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে।প্রেম আর কদ্দিন টেকে? হতাশা, স্বপ্ন ভঙ্গ তারপরে নারী নির্যাতনের মামলা। কি আর করা। সেই কাজিনের বাবা সর্বস্ব বেঁচে দিয়ে দেনমোহর শোধ দিলেন।
আমি কতটা নারীবাদী সেটা জানি না। তবে যৌতুক যেমনটা অপরাধ তেমনটা অপরাধ উচ্চমাত্রার দেনমোহরও। শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণ দেখিয়ে দেনমোহর প্রথাও টিকিয়ে রাখা যাবে না।
বিয়ের প্রয়োজনীয়তা ফিকে হয়ে গেছে। সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে বিয়ে প্রথাও বিলুপ্ত করতে হবে৷বেশীরভাগ মধ্যবিত্ত নারীই সাজগোছ করে পুরুষের জন্য।পুরুষের অ্যাটেনশন পাওয়াটাই এখানে মুখ্য।তারা বিয়ে করে স্বামীর সংসারে শো পিছ হিসেবে যাবার জন্যে। যারা বলে এসব নারী নিজের জন্য সাজগোছ করে তাহলে তারা ডাহা মিথ্যে কথা বলে।এনারা নিজেদের জন্য নয়, সাজগোছ করে পুরুষদের জন্যে।