নবীজীর কাম বাসনা এবং পুত্র বধুর দিকে কু নজর। নবীজীর পুত্র বধু যখন দিনে দিনে ডাংগর হয়ে যাচ্ছিল নবীজী তা দেখে আর লোভ সামলাতে পারলেন না। যায়েদের সাথে ডিভোর্স করিয়ে নিজেই বিয়ে করার পরিকল্পনা। একটুখানি ঝিমধরে আয়াত নাজিল করলেন।👇
33সূরা আল আহযাব:4 – আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। তোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর, তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শন করেন।
বুঝলেন তো যাকে মক্কার সামনে দাড়িয়ে কসম করেছিলেন। যৌন কামনার লোভে থাকেই আয়াত নাজিল করে অস্বীকার করলেন।
আবার আরেকটি আয়াত নাজিল করলেন।
33সূরা আল আহযাব:36 – আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়।
যয়নাব কে যায়েদ কে এই আয়াতে ভয় দেখানো হয়েছে। জাহান্নামের ভয়। জাতে তারা নবীজীর কথায় রাজি হয়ে যায়।
আবারো আরেকটি আয়াত নাজিল করা হলো।
33সূরা আল আহযাব:37 – আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তাকে যখন আপনি বলেছিলেন, তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন অথচ আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে।।
অর্থাৎ নবীর পক্ষে আল্লা দাড়িয়ে উকিলাতি করা শুরু করেন। পুত্র বধুকে বিয়ে করার পরিকল্পনা নবীজীর ইচ্ছা ছিলো নিতি মনে মনে লোকনিন্দা ভয় করেছিলেন। এত পর আল্লা তা প্রকাশ করে দিলেন
মক্কার লোকেরা বলে ছিলো হে নবী আপনি যাকে নিজের মেয়ে মত মনে করতেন যাকে আপনি বউমা বলে ডেকেছেন থাকেই আপনি বিয়ে করবেন। অবশেষে আয়াত নাজিল হয়েছে।
49সূরা আল হুজরাত:13 – হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।
এই হলো নবীজীর চরিত্র পুত্র বধুকে দেখে তার যৌন কামনা জাগে।রাস্তায় কোনো মহিলা দেখে তার যৌন কামনা জাগতো সে দৌড়ে বাড়িতে আসতো। এসে স্ত্রীদের সাথে সঙ্গম করতো। হাদিস সহীহ মুসলিম 3298.এবং3300 তেও আছে।