খায়বার যুদ্ধ না খায়বার ডাকাতি
এবং নবীজী নিজেই আল্যার আইন অবমাননা করেছেন কুরআনের আয়াত তিনি নিজেই মানেননি এবং ধর্মের নামে চালিয়েছেন নীরিহ মানুষের উপর অত্যাচার। নারীদের উপর যৌন নির্যাত।এবং বনূ কুরাইযাদের করেছেন গন হত্যা।লুটপাট পৃথিবীতে এমন খারাপ কাজ নেই যে নবীজী করেননি
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন।আল্লাহ তাঁকে খাইবার দূর্গের বিজয় দান করলেন তখন তাঁর কাছে (ইয়াহূদী দলপতি) হুয়াঈ ইবনু আখতারের কন্যা সফিয়্যাহ (রাঃ)-এর সৌন্দর্যের ব্যাপারে আলোচনা করা হল। তার স্বামী (এ যুদ্ধে) নিহত হয়। সে ছিল নববধূ। নবী তাকে নিজের জন্য মনোনীত করেন এবং তাকে সঙ্গে করে (খাইবার থেকে) যাত্রা করেন।
এরপর আমরা যখন সাদ্দুস সাহবা নামক স্থানে গিয়ে পৌঁছলাম তখন সফিয়্যাহ (রাঃ) তাঁর মাসিক ঋতুস্রাব থেকে মুক্ত হলে।
নবী তাঁর সঙ্গে বাসর করলেন। নবী এখানে ইদ্দত মানেননি। হায়িয ও মানেননি যৌন উত্তেজনায় আল্যার আদেশ মানলেন না। সাফিয়ার মাত্র একবার ঋতুস্রাব হয়েছিল কিন্তু এখানে দেখা যায় নবীজি কুরআনের দুটি আয়াত অমান্য করলেন। [৩৭১] (আ.প্র. ৩৮৯০, ই.ফা. ৩৮৯৩)(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪২১১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)
হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন। (নবী ) খায়বর এবং মদীনার মধ্যস্থলে তিনদিন সাফিয়্যা বিনত হুয়াই (রাঃ)-এর সংগে কাটান। আমি তাঁর ওয়ালীমার জন্য মুসলমানদের দাওয়াত দিলাম। তাতে গোশত ও রুটি কিছুই ছিল না। তিনি চামড়ার দস্তরখান বিছাতে আদেশ করলেন। লোকেরা তার উপর খেজুর, পনীর, ঘি রাখতে লাগলো। এটাই ছিল তাঁর ওয়ালীমা।
চিন্তা করেন নবীজীর কেমন যৌন লালসা। রাস্তার মাঝেই তিন রাত সঙ্গম
মুসলমানগণ বলতে লাগলো, তিনি উম্মাহাতুল মু’মীনের একজন, না তাঁর দাসীদের একজন? তারা বললেনঃ যদি তাঁকে পর্দায় রাখা হয়, তবে তিনি উম্মাহাতুল মু’মিনীনের অন্তর্ভুক্ত। আর যদি পর্দা না করা হয়, তবে তিনি বাঁদীদের একজন।
যখন প্রত্যাবর্তনের সময় হলো, তখন নবীর সওয়ারীর হাওদার পেছনে তাঁর বসার ব্যবস্থা করলেন এবং অন্যান্য লোক ও তাঁর মধ্যে পর্দার ব্যবস্থা করলেন।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৩৮২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
৷ তিনি যখন খায়বার নগরে প্রবেশ করলেন তখন বললেনঃ আল্লাহু আকবার। খায়বার ধ্বংস হোক। আমরা যখন কোন কওমের প্রাঙ্গনে অবতরণ করি তখন সতর্কীকৃতদের ভোর হবে কতই না মন্দ! এ কথা তিনি তিনবার উচ্চারণ করলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, খায়বারের অধিবাসীরা নিজেদের কাজে বেরিয়েছিল। তারা বলে উঠল, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কোন কোন সাথী “পুর্ণ বাহিণীসহ” (ওয়াল খামীস) শব্দও যোগ করেছেন। পরে যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা খায়বার জয় করলাম। তখন যুদ্ধবন্দীদের সমবেত করা হল। দিহ্য়া (রাঃ) এসে বললেন, হে আল্লাহ্র নবী! বন্দীদের হতে আমাকে একটি দাসী দিন।
তিনি বললেন, যাও, তুমি একটি দাসী নিয়ে যাও। তিনি সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাঃ)-কে নিলেন। তখন এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ! বনূ কুরাইযা ও বনূ নাযীরের অন্যতম নেত্রী সাফিয়্যা বিনতে হুয়াইকে আপনি দিহ্য়াকে দিচ্ছেন? তিনি তো একমাত্র আপনারই যোগ্য।
তিনি বললেন, দিহ্য়াকে সাফিয়্যা সহ ডেকে আন। তিনি সাফিয়্যাসহ উপস্থিত হলেন। যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফিয়্যা (রাঃ)-কে দেখলেন তখন (দিহ্য়াকে) বললেন, তুমি বন্দীদের হতে অন্য একটি দাসী দেখে নাও।
রাবী বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফিয়্যা (রাঃ)-কে আযাদ করে দিলেন এবং তাঁকে বিয়ে করলেন। রাবী সাবিত (রহঃ) আবূ হামযা (আনাস) (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ
নবী। তাঁকে কি মাহর দিলেন? আনাস (রাঃ) জবাব দিলেনঃ তাঁকে আযাদ করাই তাঁর মাহর। এর বিনিময়ে তিনি তাঁকে বিয়ে করেছেন।
অতঃপর পথে উম্মু সুলায়ম (রাঃ) সাফিয়্যা (রাঃ)-কে সাজিয়ে রাতে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাহু)-এর খিদমতে পেশ করলেন।
নবী।।বাসর রাত যাপন করে ভোরে উঠলেন। তিনি ঘোষণা দিলেনঃ যার নিকট খাবার কিছু আছে সে যেন তা নিয়ে আসে।তিনি ইদ্দত মানেননি
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৪)সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৭১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
ইমাম বুখারীর ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে খায়বার বিজয় শেষে মদিনা প্রত্যাবর্তন কালে”সাফিয়া তার রজ:স্রাবের মাধ্যমে শুদ্ধ হন; অতঃপর আল্লাহর নবী তাকে বিবাহ করেন।” অন্যদিকে মুহাম্মদ তাঁর আল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে কুরানে ঘোষণা দিয়েছেন:
২:২২৮ – ‘আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। আর যদি সে আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। —
২:২৩৪ – ‘আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা। তারপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে নেবে, তখন নিজের ব্যাপারে নীতি সঙ্গত ব্যবস্থা নিলে কোন পাপ নেই।–‘
সাফিয়া-কে বিবাহ করার সময় মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ “তাঁর আল্লাহর” এই বিধানটি স্পষ্টতই ভঙ্গ করেছিলেন। তিনি সাফিয়া-কে বিবাহ করার পূর্বে তাঁর “তিন হায়েয বা চার মাস দশ দিন পর্যন্ত” অপেক্ষা করেননি
মুহাম্মদের আগ্রাসী, অনৈতিক, নৃশংস, অমানবিক কর্মকাণ্ডের বৈধতা প্রদানে যুগে যুগে মুহাম্মদ অনুসারীরা এমনি “সীমাহীন তামাশা”-র আশ্রয় নিয়ে চলেছেন। পৃথিবীর যাবতীয় ইসলাম-বিশ্বাসীরা হলো “মুহাম্মদের দাস!”হুরের আর গনিমতের মালের লোভের কারণে তারাএই দাসত্ব থেকে মুক্তি পাচ্ছে না