এমডি মাহাদি হাসান: মসজিদ-মাদ্রাসা বরাবরই শিশু ধর্ষণ এবং সমকামিতার নিরাপদ আখড়া। শিশুকামী বা সমকামী মসজিদের ইমাম -মুয়াজ্জিন অথবা মাদ্রাসার হুজুররা যদি মসজিদের ভিতরে শিশু ধর্ষণ করতে যেয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন তবুও সমাজের লোকজন এমনকি ধর্ষিত/ধর্ষিতার পরিবার পর্যন্ত সর্বাত্মক চেষ্টা করে বিষয়টি গোপন রাখতে।
অন্ধ ধর্মভক্তির কারণে পূর্বে এইসব ঘটনা একদমই প্রকাশ পেতোনা কিন্তু ইদানীং মানুষের মন থেকে ধর্মীয় অন্ধভক্তি ক্রমশ দূর হতে থাকায় এবং ইন্টার্নেট যোগাযোগব্যবস্থার প্রসারে এইসব ঘটনা আলোর মুখ দেখা শুরু করেছে।
মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন বা মাদ্রাসার শিক্ষকরা চার-পাঁচ থেকে দশ বছরের শিশুদের মসজিদের ভিতরে কিংবা মাদ্রাসায় ধর্ষণকালে হাতেনাতে ধরা পরার হাজারো ঘটনা ইদানীং পত্রিকা খুললেই দেখা যায়। এইক্ষেত্রে চার্-পাঁচ বছর বয়সের ছেলে শিশু ধর্ষণে হেফাজতে ইসলামের নেতা, ইসলামী শিক্ষায় সর্বোচ্চ শিক্ষিত মুফতি, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল থেকে শুরু করে মসজিদের মধ্যবয়সী ইমাম কিংবা কোরানে হাফেজ কেউ পিছিয়ে নেই।
এমনও হয়েছে মসজিদের দরজা লাগিয়ে ভিতরে মিম্বরের পাশে ধর্ষণ করে সেই দৃশ্য ইমামসাহেব আবার মোবাইলে ভিডিও করেও রেখেছেন। আরেক ঘটনায় দেখি কোরানে হাফেজ মুয়াজ্জিন চার-পাঁচ বছরের শিশু সুরাইয়াকে বেশি ছোট হওয়ায় আরামে ধর্ষণ করতে না পারায় রাগে খুন করে লাশ পানিতে ফেলে দিয়েছেন।
ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করলে দেখি চার-পাঁচ বছর বয়সের শিশু মসজিদে বা মাদ্রাসায় পড়তে গিয়ে ইমাম-মুয়াজ্জিন বা মাদ্রাসা শিক্ষকের দ্বারা ধর্ষিত হয়ে মৃত প্রায় অবস্থা হয় । এমন ঘটনা মাদ্রাসায় ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকল শিশুর ক্ষেত্রেই ঘটেছে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মাদ্রাসা শিক্ষক বা মসজিদের ইমাম অবুঝ ছেলে শিশুদের ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে আবার ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলবেন বলে ছোট্ট অবুঝ শিশুদের ভয় দেখিয়ে চুপ রাখতে চেষ্টা করছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা সাধারণত ভয়ে এবং লজ্জায় কাউকে এইসব ঘটনা জানায়ওনা তাই ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং মাদ্রাসার হুজুরেরা বিনা বাধায় দুনিয়াতেই বেহেশতি গেলমান ভোগ করার সুযোগ পান।
এখন আপনারা কি বলবেন ছোট্ট শিশুরা মসজিদের ইমামের বা তার হুজুরের সাথে দেখা করতে যেয়ে অন্যায় করেছেপাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত হওয়ার এমনকি ছেলে শিশু ধর্ষিত হওয়ার কারণ কি তাদের বেপর্দায় উন্মুক্ত হয়ে চলা বা ন্যুডিটি?? তারা কি পর্দা না করার কারণে ধর্ষিত হচ্ছে??
আর শরীয়া আইনে বাচ্চাটি নিজেকে ধর্ষিত প্রমাণ করতে হলে চারজন সাক্ষী পাবে কোথায়?? আচ্ছা এখন কি ছেলেরাও সাথে আরো চারজন সাক্ষী অথবা মাহরাম পুরুষ সাথে নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের সাথে দেখা করতে যাবে??
আর মসজিদ-মাদ্রাসায় ধর্ষণের ক্ষেত্রে সবচে মজার ব্যাপার হলো প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রেই ঘটনাগুলোতে আমরা দেখি যে ধর্ষিত শিশুদের পরিবার বা এলাকাবাসী ঘটনাগুলো প্রথমে ঢাকতে চেষ্টা করে কিন্তু কখনো কখনো উপর্যুপরি ধর্ষণে ছোট্ট মেয়ে শিশুদের যৌনাঙ্গ এবং ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রে পায়ুপথ ছিঁড়ে অত্যধিক রক্তপাত হয়ে অবস্থা চূড়ান্ত খারাপ হলে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ায় পরিবার এবং এলাকাবাসী ঢাকতে চেষ্টা করলেও ঘটনাগুলো প্রকাশ পেয়ে যায় ।
এর দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যায় যে এইরকম মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন বা মাদ্রাসা শিক্ষকের দ্বারা শিশু ধর্ষণের ঘটনা শিশুর শারীরিক অবস্থা খুব বেশি খারাপ হয়ে হসপিটালাইজড না হলে ঘটনাগুলো প্রকাশই পায়না।
তারমানে এরকম হাজারো ঘটনার মধ্যে মাত্র হাতেগোনা দুই-একটা ঘটনা জনসম্মুখে প্রকাশ পায় আর আমাদের চোখে আসে। পূর্বে মানুষদের অন্ধ ধর্মবিশ্বাস-ধর্মাবেগের কারণে এইসব ঘটনা পত্রিকায় একদমই প্রকাশ করতে দেওয়া হতোনা। ইদানীং সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেই সাহসী আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন হওয়ায় হাজারো ঘটনার মধ্যে দু-একটা ঘটনা প্রকাশিত হয়ে যায়।
নিচে এরকম কয়েকটি নিউজ লিংক দিলাম পড়েই দেখুন।
১ ★ http://m.bdnews24.com/samagrabangladesh/detail/samagrabangladesh/1157890
২ ★ http://www.amardeshonline.com/pages/details/2016/04/02/329965 মসজিদের ইমামের দ্বারা ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা
৩ ★ http://m.prothom-alo.com/bangladesh/article/42142 মাদ্রাসা শিক্ষক ধর্ষণ করলেন পাঁচ বছরের শিশুকে
৪ ★ http://www.manobkantha.com/2015/02/26/16046.php
৫ ★ http://somoynews.tv/pages/details/টাঙ্গাইলে-মাদ্রাসা-শিক্ষকের-বিরুদ্ধে-ছাত্রী-ধর্ষণের-অভিযোগ
৬ ★ http://www.newsnarayanganj24.net/details.php?nssl=6628
৭ ★ http://www.eibela.com/mobile/article/‘অবুঝ-মেয়েটির-সর্বনাশ-ইমাম-হয়ে-কেমনে-করলো%3F’
৮ ★ http://munshigonj24.com/2014/11/10/74984
৯ ★ http://www.rajbaritimes.com/2015_08_16_archive.html?m=1
১০ ★ http://www.ittefaq.com.bd/wholecountry/2016/03/16/59857.html
১১ ★ http://bn.papers24.net/25981/crime
১২ ★ http://www.m.sylhettoday24.com/news/details/Sylhet/22818
১৩ http://www.amadershomoy.biz/beta/2016/06/06/610617/#.V1Wxpxt4MLk.facebook